আহমেদ নিলয় নামে প্রশ্নফাঁসকারী ব্যক্তির ফেসবুক টাইমলাইন
ঢাকা বোর্ডের এইচএসসি পরীক্ষার জীববিজ্ঞান প্রথমপত্রের প্রশ্নপত্র পরীক্ষা শুরুর এক ঘণ্টা আগেই ফাঁস হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ফেসবুকের সাহায্য নিয়ে আহমেদ নিলয় নামের একজন এটি ফাঁস করেছেন। পরীক্ষা শুরুর এক ঘণ্টা আগেই ফেসবুকে তার টাইমলাইনে এই প্রশ্নপত্রটি পাওয়া যাচ্ছিল। পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের সঙ্গে ফেসবুকে প্রকাশ করা প্রশ্নের হুবহু মিল পাওয়া গেছে।
ফেসবুক পেজে বুয়েট ছাত্রলীগের সদস্য হিসেবে নিলয়ের পরিচয় দেওয়া রয়েছে। তবে বুয়েট ছাত্রলীগের নেতারা তাদের সংগঠনে এই নামের কেউ নেই বলে দাবি করেছেন।
গতকাল মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) সকাল ১০টা থেকে জীববিজ্ঞান পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
একাধিক অভিযোগকারী বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, আহমেদ নিলয় নামের এক ব্যক্তির ফেসবুক টাইমলাইনে মঙ্গলবার সকাল ৯টা ৫ মিনিটে জীববিজ্ঞান প্রথম পত্রের বহু নির্বাচনি (এমসিকিউ) ও তত্ত্বীয় অংশের প্রশ্নপত্রটি ইমেজ (ছবি) আকারে আপলোড করা হয়েছে। পরে ফেসবুক ঘেঁটে এ তথ্যের সত্যতা পাওয়া গেছে।
ফেসবুকে আহমেদ নিলয়ের পরিচয় দেওয়া হয়েছে, তিনি বুয়েট ছাত্রলীগের দফতর সম্পাদক। তবে তাৎক্ষণিকভাবে তার পরিচয় নিশ্চিত হওয়া সম্ভব হয়নি।
প্রশ্নফাঁস বিষয়ে ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক শ্রীকান্ত কুমার চন্দ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘প্রশ্নফাঁসের বিষয়ে আমরা কিছুই জানতাম না। আপনার কাছ থেকেই জানলাম। তবে আমরা তদন্ত করছি। যারা এই ফাঁস চক্রের সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
পরীক্ষার আগেই প্রশ্ন ফেসবুকে প্রকাশ করা কিভাবে হওয়া সম্ভব এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সাধারণত পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রশ্ন সকাল ৯ টার মধ্যেই পৌঁছে যায়। সেখান থেকেই প্রশ্নটি ফাঁস হতে পারে। তবে এটি কোন কেন্দ্র থেকে ফাঁস করা হয়েছে তা এ মুহুর্তে বলা সম্ভব হচ্ছে না।’
এদিকে আহমেদ নিলয় নামে বুয়েট ছাত্রলীগে কোনও দফতর সম্পাদক, সাধারণ কোনও কর্মী বা শিক্ষার্থী নেই বলে দাবি করেছেন বুয়েট শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি শুভ্র জয়োত্য টিকাদার। বাংলা ট্রিবিউনকে তিনি বলেন, আহমেদ নিলয় নামের এই ছেলেটার ফেসবুক আমিও একবার দেখেছি। সে বুয়েট ছাত্রলীগ দফতর সম্পাদক পরিচয় দিয়ে ফেসবুক আইডি খুলেছে। এটা দেখার পরে আমি বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেকভাবে খোঁজ নিয়েছি কিন্তু আহমেদ নিলয় নামে কাউকেই পাইনি।’
/এসটি/এফএস/টিএন/
আরও পড়তে পারেন:
তনু হত্যার ঘটনা পরিকল্পিত, জড়িত একাধিক ব্যক্তি: বিশেষ পুলিশ সুপার