মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ১৯৪৫ সালের ৯ আগস্ট জাপানের নাগাসাকিতে আনবিক বোমা ফেলা হলে লাখো মানুষ প্রাণ হারান। এর বিপক্ষে জনমত গড়ে তুলতে ১৯৫৫ সালে নাগাসাকি পিস পার্ক নির্মাণ করা হয়। ২০১৪ সালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ শেখ হাসিনা জাপান সফরকালে এ পার্কে বাংলাদেশের একটি ভাস্কর্য স্থাপনের ইচ্ছা প্রকাশের মাধ্যমে শান্তির পক্ষে তার অবস্থান তুলে ধরেন।
আরও পড়ুন- রিজার্ভ চুরি: অন্তর্বর্তীকালীন তদন্ত প্রতিবেদন অর্থমন্ত্রীর হাতে
জাপানের নাগাসাকি পিস পার্কে বিশ্বের ১৬টি দেশের ভাস্কর্য স্থান পেয়েছে। এখানে পোলিশ ও ইটালির ভাস্কর্যের মাঝে বাংলাদেশের ভাস্কর্যটি স্থাপন করা হবে।
ভাস্কর্য তৈরি করে প্রতিযোগিতায় প্রথম হয়েছেন অনিন্দিয়া পণ্ডিত, দ্বিতীয় হয়েছেন মোহাম্মদ এমরান হোসেন ও তৃতীয় হয়েছেন মো. আসিফুর রহমান।
ভাস্কর্য শিল্পীদের বুধবার আনুষ্ঠানিকভাবে পুরস্কৃত করে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়। এ উপলক্ষে মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন। তিনি ভাস্করদের হাতে পুরস্কার ও সনদ তুলে দেন। অনুষ্ঠানে আরও সাতটি ভাস্কর্যের শিল্পীকে সম্মানিত করা হয়।
মন্ত্রী বলেন, ভবিষ্যতে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় থেকে বড় কোন স্থাপনা নির্মাণ করা হলে এভাবে উন্মুক্ত প্রতিযোগিতার মাধ্যমে নকশা আহ্বান করা হবে। তিনি প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীদের অভিনন্দন জানান।
গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. শহীদ উল্লা খন্দকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন ভাস্কর্য নির্বাচন জুড়ি বোর্ডের প্রধান স্থপতি রবিউল হুসাইন, মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এম. বজলুল কবীর চৌধুরী প্রমুখ।
ওএফ/ এপিএইচ/