ঢামেক হাসপাতালের শিশু সার্জারি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক কানিজ হাসিনা শিউলী বাংলা ট্রিবিউনকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘গত শনিবার হাসপাতালে ওই নবজাতকটিকে তার বাবা-মা নিয়ে আসেন। শিশুটি বুকের দুধ খেলেও তার পায়খানা হচ্ছিল না। তার বাবা-মা হাসপাতালে একদিন থেকে ওর পরীক্ষা নিরীক্ষা করান। পরবর্তীতে আমরা পরীক্ষা করে জানতে পারি, নবজাতকটির পেটের ভেতরে কিছু অংশে নাড়ি তৈরি হয়েছে, আবার কিছু অংশে হয়নি। এরপর অস্ত্রোপচার করে ওই নাড়ি জোড়া লাগিয়ে দেওয়া হয়। আজ তাকে খেতেও দেওয়া হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘নবজাতকটির পরিচয় আছে। নবজাতকের বাবার নাম মনির। তারা খুবই দরিদ্র। হয়তো অসুস্থতার কথা শুনে কিছুটা ভিতু হয়ে সন্তানকে রেখে তারা চলে গেছেন। এমনও হতে পারে হয়তো মেয়ে সন্তান তাই তারা ওকে নিতে চাননি। তবে ওকে সুস্থ করাই এখন জরুরি। আমরা তাই করছি।’
শিশুটি বিপদমুক্ত কিনা? এমন প্রশ্নের জবাবে কানিজ হাসিনা বলেন, ‘অস্ত্রোপচার সফল হয়েছে। তবে পেটের যে জায়গা থেকে অস্ত্রোপচার করা হয়েছিল, সেই জায়গাটায় ঘাঁ হয়েছে। তাই এখনও পুরোপুরি বিপদমুক্ত বলা যাচ্ছে না। আজকে খাবার দেবার পর সে পায়খানাও করেছে। তবে আমরা আরও দেখছি, তার চিকিৎসা চলছে।’
এদিকে শুক্রবার বিকালে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের ২০৫ নম্বর শিশু সার্জারি ওয়ার্ডে গিয়ে দেখা গেছে ২ নম্বর বিছানায় (পর্যবেক্ষণ) স্যালাইন লাগানো অবস্থায় রয়েছে সাতদিন বয়সী শিশুটি। বাবা-মা স্বজন কেউ তার পাশে নেই। তবে পুরো হাসপাতাল তার সঙ্গে রয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢামেক হাসপাতালের সহকারী রেজিস্টার ডা. ফাতেমা সাঈদ।
বিকালে নবজাতকের পাশের সিটে প্রসূতি হেনা বেগম শিশুটিকে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী দুধ খাওয়াচ্ছিলেন। তিনি জানান, ‘তাদের বাবা-মায়েরও বয়স কমছিল। বাচ্চাটির সঙ্গে তারা হাসপাতালে একদিন ছিল। এরপর থেকে নেই। আমরা ওয়ার্ডের সবাই ওর দেখাশোনা করছি।’
আরও পড়ুন:
/এআরআর /এএইচ/