নজরুল ইসলাম খান বলেন, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে জনগণের ইচ্ছার কোনও প্রতিফলন ঘটছে না। জবরদস্তি করে সরকারি দলের প্রার্থীরা বিজয়ী হচ্ছেন, আর নির্বাচন কমিশন সাক্ষী গোপালের মত বসে তা দেখছেন। এ ধরনের নির্বাচনের কোনও মানে হয় না।
আগের দুই ধাপের ইউপি নির্বাচনের মত তৃতীয় ধাপেও সরকারি দলের প্রার্থীদের জেতাতে পুলিশ ও প্রশাসন সহযোগিতা করেছে, এমন অভিযোগ তুলে বিএনপির এই নেতা বলেন, কারচুপি, কেন্দ্র দখল, বিএনপির এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়া, সিল মেরে ব্যালটবাক্স ভরাসহ নির্বাচনে জোর করে জেতার জন্য যা করা দরকার সরকারি দলের প্রার্থীরা তা করেছেন।প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তাদের এসব কাজে বাধা না দিয়ে বরং সহযোগিতা করেছেন।
সিইসির সঙ্গে সাক্ষাৎ প্রসঙ্গে নজরুল ইসলাম বলেন, আমরা কমিশনকে বলেছি নির্বাচনের সময় বিভিন্নস্থানে হামলা, ভাঙচুরসহ যেসব অনিয়ম হয়েছে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে। একই সঙ্গে কমিশনারকে বলেছি যেসব কেন্দ্রে অনিয়ম হয়েছে তার ভোট বন্ধ করে দিতে। কমিশনার আমাদের আশ্বস্ত করেছেন।
আরও পড়ুন:
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, আগের দুটি ধাপেও কমিশন আমাদের এভাবে আশ্বস্ত করেছিলেন, এবারও সেই একই আশ্বাস দিলেন। এই আশ্বাসকে আমরা আস্থায় নিচ্ছি না, আবার অনাস্থাও জানাচ্ছি না। দেখতে চাই কমিশন এবারের দাবির ক্ষেত্রে কী করেন। এরপর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানাব।
এর আগে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে নজরুল ইসলাম খানের নেতৃত্বে বিএনপির ৩ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিব উদ্দীনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। প্রতিনিধি দলে অন্যদের মধ্যে ছিলেন মাহবুব উদ্দিন খোকন ও ইমরান সাহেল প্রিন্স।
/ইএইচএস/এমও/এপিএইচ/