ফেসবুক পেজে ইমরান এইচ সরকার আরও লিখেছেন, ‘যখন সবাই অনিরাপদ, তখন ড. রেজাউল করিম সিদ্দিকী ধর্মপ্রচারক ছিলেন নাকি উদার মানসিকতার ছিলেন, এটা ফালতু আলোচনা। এটা শুধু সরকারেরই প্রয়োজন হতে পারে, আমাদের মতো বোকা নাগরিকদের বিভক্ত করার কাজে। ধর্ম প্রচারক হলে স্ক্রিপ্টে লেখা হবে জঙ্গি আর উদার হলে নাস্তিক, দায়দায়িত্ব শেষ! একটু ভেবে দেখলাম, এদেশে শুধু ক্ষমতাসীন দলের নেতারা বাদে (কর্মীরাও খুন হচ্ছেন) সবাই খুন হচ্ছেন। এমনকি ক্ষমতাসীন দলের নেতানেত্রী ও তাদের পরিবার, আত্মীয়-স্বজনের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের বাইরে অন্য কোনও ঘটনার বিচারও হচ্ছে না। বলা চলে, অন্য কোনও ঘটনার দায়-দায়িত্বও সরকার নিচ্ছে না! বরং এসব ঘটনায় বিচার প্রার্থীদের গুম, খুন করা থেকে শুরু করে হেন কোনও অপপ্রচার নেই, যা তাদের বিরুদ্ধে করা হচ্ছে না।’
গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র তার ফেসবুক পেজে লিখেছেন, ‘যাই হোক, বিচার চেয়ে তো এদেশে কোনও লাভ নেই, খুন-ধর্ষণ-লুটপাটের বিচার চাইলে পুরস্কার হিসেবে পাই আনফ্রেন্ড আর প্রকাশ্যে হত্যার হুমকি। আমরা কি তাহলে বিচার চেয়ে সরকারকে বিব্রত করা বন্ধ করে দেব? নাকি সবাই মিলে সরকারের দিকে আঙুল তুলে বলব, আপনারাই রেজাউল করিম সিদ্দিকীর খুনি।’
প্রসঙ্গত, রাজশাহীর শালবন এলাকায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. এএফএম রেজাউল করিম সিদ্দিকীর গলাকেটে হত্যা করেছেন দুর্বৃত্তরা। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ছিলেন। শনিবার সকাল পৌনে ৮টার দিকে বাসা থেকে বের হয়ে তিনি শালবন এলাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। এ সময় দুর্বৃত্তরা তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে করে পালিয়ে যান। তাকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়তে পারেন:
এদিকে, শনিবার বিকেলে জঙ্গি সংগঠন আইএস রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এ এফ এম রেজাউল করিম সিদ্দিকীকে হত্যার দায় স্বীকার করছে বলে সংগঠনটি পরিচালিত বার্তা সংস্থা আমাক-এর ওয়েবসাইটে খবর প্রকাশ করা হয়েছে। জিহাদি কর্মকাণ্ড পর্যবেক্ষণকারী ওয়েব সাইট ইন্টিলিজেন্স গ্রুপও সেই দায় স্বীকারের খবর দিয়ে একটি টুইট করেছে। আমাক এজেন্সির খবরে বলা হয়েছে-‘আইএস যোদ্ধারা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের নাস্তিক শিক্ষককে হত্যা করেছেন।’
/সিএ/এমএনএইচ/