এর আগে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি বিলটির চূড়ান্ত অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা। প্রস্তাবিত আইনে বলা হয়েছে, ইপিজেডে অবস্থিত কোনও শিল্প প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকরা শ্রমিক কল্যাণ সমিতি করতে চাইলে প্রতিষ্ঠানের ৩০ ভাগ শ্রমিককে ইপিজেড কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করতে হবে। আবেদনকারীদের মধ্যে ভোটের ব্যবস্থা করা হবে এবং তাদের মধ্যে ৫০ ভাগ সমিতি করার পক্ষে ভোট দিলে সমিতি অনুমোদন পাবে। এই সমিতি শিল্প প্রতিষ্ঠানের যৌথ দর-কষাকষির এজেন্ট হবে বলে প্রস্তাবিত আইনে বলা হয়েছে।
প্রস্তাবিত আইন অনুযায়ী শ্রমিকরা অবসর সুবিধা, মৃত্যু ও দুর্ঘটনাজনিত ক্ষতিপূরণ, বাধ্যতামূলক গ্রুপ ইন্সুরেন্স, ভবিষ্যৎ তহবিল, অর্জিত ছুটির নগদায়ন, পূর্ণ বেতনের সমান হারে বছরে দুটি উৎসব বোনাস এবং ১৬ সপ্তাহের প্রসূতি কল্যাণ সুবিধা পাবেন।
প্রস্তাবিত আইন অনুযায়ী ইপিজেডের শ্রমিকরা বার্ষিক ১০ শতাংশ বেতন বৃদ্ধির সুবিধা পাবে।
আরও পড়তে পারেন:
শ্রম মন্ত্রণালয়ের ন্যূনতম মজুরি বোর্ড সব ধরনের শ্রমিকদের জন্য যে মজুরি কাঠামো ঠিক করে দেয়, এতদিন সেই কাঠামোতেই বেতনভাতা পেয়ে আসছিলেন ইপিজেডের শ্রমিকরা। আইনটি প্রণয়ন করা হলে ইপিজেডের শ্রমিকদের জন্য একটি স্থায়ী মজুরি বোর্ড গঠন করা হবে।
বিলে বলা হয়েছে, শ্রমিক ও বিনিয়োগকারীদের প্রতিনিধি ছাড়াও নিরপক্ষে উৎস থেকে প্রতিনিধি নিয়ে এই স্থায়ী মজুরি বোর্ড গঠন করা হবে। বাংলাদেশ রফতানি প্রক্রিয়াকরণ কর্তৃপক্ষের (বেপজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান এই বোর্ডের প্রধান হবেন।
এ আইনের আওতায় ইপিজেডের শ্রমিকদের অবসরের বয়স হবে ৬০ বছর। ২৫ বছর চাকরি পূর্ণ হলে একজন শ্রমিক অবসর সুবিধা প্রাপ্য হবেন।
খসড়া আইন অনুযায়ী কর্মরত অবস্থায় মারা গেলে ২ লাখ টাকা এবং সম্পূর্ণ অক্ষম হয়ে গেলে সোয়া দুই লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ পাবেন শ্রমিকরা।
/ইএইচএস/এমএনএইচ/