টেক্সটাইল কর্মকর্তা হত্যা ঘটনায় আটক ৫



আটকসায়েম টেক্সটাইলের এজিএম মনিরুল ইসলামের হত্যার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ৫ জনকে আটক করেছে ডিবি পুলিশ। গতরাতে (সোমবার) রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে নিহত মনিরুল ইসলামের মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে। ডিএমপির উপকমিশনার (গণমাধ্যম) মারুফ হোসেন সরদার এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, আজ মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে মনিরুলের হত্যা রহস্য বিস্তারিত জানানো হবে।
গত ১৮ মে বুধবার নিখোঁজ টেক্সটাইল কর্মকর্তা মনিরুল ইসলামের লাশ খিলগাঁও মুস্তমাঝি মাঠ থেকে উদ্ধার করা হয় । ১৭ মে মঙ্গলবার দুপুরে বাসা থেকে গাড়ি নিয়ে বের হয়েছিলেন তিনি। নন্দীপাড়া চৌরাস্তায় চালককে গাড়ি থামাতে বলে তিনি নেমে যান। চালককে বলে যান ‘একটু কাজ আছে। তা শেষ করেই আসছি।’ এরপর থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। গত ১৮ মে বুধবার সকালে মুস্তমাঝি মাঠে তার লাশ  পাওয়া যায়। মনিরুল ইসলাম সায়েম টেক্সটাইল মিলের এজিএম ছিলেন।
মনিরের ছোট ভাই নজরুল ইসলাম জানান, মালিবাগ চৌধুরী পাড়ার ২৬৩/বি নম্বর বাড়িতে পরিবারের সঙ্গে বসবাস করতেন মনিরুল। তিনি বলেন, মঙ্গলবার দুপুরে তার ভাই গাড়িতে করে বাসা থেকে বের হন। গাড়িটি সবুজবাগ নন্দিপাড়া চৌরাস্তায় গেলে চালককে থামতে বলেন। তিনি চালককে কাজ আছে বলে গাড়ি থেকে নেমে যান। বলে যান একটু পর তিনি আসছেন। এরপর থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। বিভিন্নস্থানে খোঁজাখুঁজি করে তার সন্ধান পাওয়া যাচ্ছিল না। এ ঘটনায় সবুজবাগ থানায় একটি জিডি করা হয়। তিনি বলেন, তার কোনো শত্রু ছিল না। মনিরুলের বাবার নাম আব্দুর রশিদ। তিন ভাই ও চার বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন দ্বিতীয়। তাদের গ্রামের বাড়ি কুমিল্লা সদর থানার দক্ষিণ চন্দ্রবতী এলাকায়। তিনি এক সন্তানের জনক।
এআরআর/ এপিএইচ/