আজ সাবেক শ্রমিক নেতা ও জাতীয় সংসদ সদস্য আহসান উল্লাহ মাস্টার হত্যা মামলায় আপিলের রায় ঘোষণা করা হবে। গত ৮ জুন বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথের বেঞ্চ শুনানি শেষে রায় ঘোষণার এ তারিখ ধার্য করেন।
এর আগে চলতি বছরের ১৪ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়ে আসামিদের ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ড নিশ্চিতকরণ), আপিল ও ফৌজদারি বিবিধ আবেদনের ওপর হাইকোর্টে শুনানি শুরু হয়।
এ মামলায় বিচারিক আদালতের রায় ঘোষণা হয় ২০০৫ সালে। এরপর মামলাটি জেল আপিল ও নিয়মিত আপিলের জন্য হাইকোর্টে চলে আসে। আপিলের এ রায়ে মৃত্যুদণ্ড ও যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ আসামিদের সাজা বহাল থাকবে বলে আশা করছেন আইনজীবী ও পরিবারের সদস্যরা।
মামলাটির বিচার সম্পন্ন করা হয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে। মামলায় রায় বিষয়ে আসামিপক্ষের আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, ‘আমরা এ হত্যা মামলায় আসামিরা খালাস পাবেন বলে আশা করছি। উচ্চ আদালতে এ মামলার আপিলের শুনানি করেছি। আশা করছি, আসামিরা এ মামলার অভিযোগ থেকে মুক্তি পাবেন।’
যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত ৬ আসামি হলেন- রাকিব উদ্দিন সরকার ওরফে পাপ্পু, আইয়ুব আলী, জাহাঙ্গীর, নুরুল আমিন, মনির ও অহিদুল ইসলাম টিপু (পলাতক)। এ মামলায় খালাস পান কবির হোসেন ও আবু হায়দার। সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের মধ্যে ২ জন ইতোমধ্যে মৃত্যুবরণ করেছেন। তারা হলেন- ছোট রতন ও আল আমিন।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০০৪ সালের ৭ মে গাজীপুরের টঙ্গীর নোয়াগাঁও এম এ মজিদ মিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এক জনসভায় আহসান উল্লাহ মাস্টারকে গুলি করে হত্যা করা হয়। ওমর ফারুক রতন নামে আরেকজন তার সঙ্গে খুন হন। ঘটনার পরদিন নিহতের ভাই মতিউর রহমান টঙ্গী থানায় ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ১০/১২ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
রাষ্ট্রপক্ষ জানায়, তদন্ত শেষে এই মামলায় ওই বছরের ১০ জুলাই ৩০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। একই বছরের ২৮ অক্টোবর ৩০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। রাষ্ট্রপক্ষে ৩৪ জন এবং আসামিপক্ষে ২ জন সাক্ষ্য দেন।
২০০৫ সালের ১৬ এপ্রিল এই মামলায় ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক শাহেদ নূর উদ্দিন রায় ঘোষণা করেন। রায়ে বিএনপি নেতা নূরুল ইসলাম সরকারসহ ২২ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড এবং ৬ আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়। খালাস পায় ২ আসামি।
আরও পড়তে পারেন: জাসদ আগে থেকেই গুম-খুনে অভিজ্ঞ: খালেদা জিয়া
/ইউএসআই/এমএনএইচ/