জেএমবি ও কয়েক সদস্যের তথ্য চেয়েছে ভারত

জেএমবি (জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ)ভারতের খাগড়াগড় বিস্ফোরণ মামলায় অভিযুক্ত জেএমবি (জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ) কয়েক সদস্য ও সংগঠনটির বিষয়ে বাংলাদেশের কাছে তথ্য চেয়েছে ভারত। মিউচুয়াল লিগ্যাল অ্যাসিসট্যান্স চুক্তির আওতায় এ সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

ভারতের জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার (এনআইএ) একটি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, ভারতের খাগড়াগড় বিস্ফোরণ মামলায় অভিযুক্ত জেএমবি’র সদস্যরা বাংলাদেশের নাগরিক। সে কারণে মিউচুয়াল লিগ্যাল অ্যাসিসট্যান্স ট্রিটি বা এমল্যাট-এর ভিত্তিতে বাংলাদেশ সরকারের কাছ থেকে এ তথ্য চেয়ে অনুরোধ জানায় ভারত।

ভারত জেএমবি’র যে সব সদস্যের সম্পর্কে তথ্য চেয়েছে, তাদের মধ্যে গ্রেফতার হওয়া মাসুদ রানা ওরফে সাজিদ ও তরিকুল ইসলাম ওরফে সুমনের নামও রয়েছে। খাগড়াগড় বিস্ফোরণ মামলায় অভিযুক্তদের মধ্যে এখনও চারজন ফেরার। এরা হলেন, কওসার ওরফে বোমা মিজান, হাতকাটা নাসিরুল্লা ওরফে সোহেল, তালহা শেখ ওরফে শ্যামল ও সাইদুর রহমান। এই ছয় জঙ্গি বাংলাদেশের নাগরিক হওয়ায় এ তথ্য চেয়েছে ভারত।

বাংলাদেশ সরকারের কাছ থেকে জেএমবি’র ওই সব সদস্যের বিষয়ে তথ্য পেলে তা পেশ করা হবে কলকাতার নগর দায়রা আদালতের মুখ্য বিচারকের এজলাসে বা এনআইএ আদালতে। ২০ অগাস্ট এখানেই খাগড়াগড় মামলার বিচার শুরু হয়। এনআইএ সূত্র জানায়, পশ্চিমবঙ্গ তথা পূর্ব ও উত্তর-পূর্ব ভারতে আস্তানা গেড়েছে জেএমবি।

এনআইএ’র দাখিল করা চার্জশিট থেকে জানা গেছে, জেএমবি পশ্চিমবঙ্গের মাটিকে ব্যবহার করে বাংলাদেশে নাশকতা ঘটানোর প্রস্তুতি নিচ্ছিল। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার খবর, মাসুদ রানা সাজিদ বাংলাদেশের নারায়ণগঞ্জ জেলার মদনগঞ্জের ফরাজিকান্দা গ্রামের বাসিন্দা। তরিকুল চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জের বাসিন্দা। ভারতীয় গোয়েন্দারা দাবি করেছেন, আটক জেএমবি সদস্য মাসুদ রানা সাজিদ বর্ধমান মডিউল বা গোষ্ঠীর মাথা। সাজিদ জেএমবি’র মজলিশ-ই-শুরা বা সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী কমিটির সদস্য ছিল। ২০১৪ সালের নভেম্বরে সাজিদ পশ্চিমবঙ্গে ধরা পড়ার দু’সপ্তাহ পরেই তার স্ত্রী ফতেমাকে বাংলাদেশে গ্রেফতার করা হয়। তিনিও জেএমবি’র একজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য।

এনআইএ’র এক কর্মকর্তা জানান, বধর্মান শহরের কাছে খাগড়াগড়ে জেএমবি’র বোমা তৈরির কারখানায় দুর্ঘটনামূলক বিস্ফোরণের তদন্তের সূত্র ধরে এই রাজ্যে জেএমবি’র নেটওয়ার্ক ও তাদের ষড়যন্ত্রের কথা জানা যায়। বাংলাদেশ সরকারের কাছ থেকে জেএমবি ও অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে তথ্য পেলে মামলা আরও জোরালো হবে বলে মনে করছে এনআইএ।

১৯৯৮ সালে জেএমবি বাংলাদেশে গঠিত হয়। খাগড়াগড় মামলায় অভিযুক্ত ৩০ জনই জঙ্গি সংগঠন জামাতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) সদস্য।
/এবি/

আরও পড়ুন
এবার সিঙ্গাপুরকে বিধ্বস্ত করলো বাংলাদেশের মেয়েরা