শুক্রবার বেলা সোয়া ১১ টার দিকে কলোনির ডি/১৫/ও নম্বর ভবনের চতুর্থ তলা থেকে তার লাশ উদ্ধার করে শাহজাহানপুর থানার পুলিশ। সরোয়ার বাংলাদেশ রেলওয়ের জুনিয়র অডিটর পদে কর্মরত ছিলেন।
পরিবারের বরাত দিয়ে শাহজাহানপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোজাম্মেল হক জানান, ‘ঘুম থেকে উঠতে দেরি করায় পরিবারের সদস্যরা সকালে তাকে ডাকাডাকি করেন।কোনও সাড়া শব্দ না পেয়ে তার ছোট ভাই গোলাম ফারুক দরজা ভেঙে তাকে ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় ঝুলন্ত দেখতে পান। এরপর তারা পুলিশকে খবর দেন।’
তিনি বলেন, ‘পুলিশ বাসায় গিয়ে তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢামেক হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।’
নিহতের ভাই গোলাম ফারুক অভিযোগ করেন, ‘গত তিন-চার বছর ধরে সরোয়ার মাদকাসক্ত ছিলেন। এজন্য তাকে দু’দফায় রিহ্যাব সেন্টারে ভর্তিও করা হয়েছিল। কিন্তু তারপরও তিনি ঠিক হননি। এর আগেও কয়েকবার তিনি আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন।’
নিহতের বাবার নাম গোলাম মোস্তফা। তিনিও রেলওয়ের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। তাদের গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার দাউদকান্দি। গোলাম সরোয়ার পরিবারের সঙ্গেই কলোনির ওই বাসায় ছিলেন।দশ মাস আগে তিনি বিয়ে করেন।সরোয়ারের শাশুড়ি অসুস্থ থাকায় বৃহস্পতিবার রাতে তার স্ত্রী বাবার বাড়িতে ছিলেন।
/এআরআর/ এপিএইচ/