মানিকগঞ্জে চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগ

শিশু নির্যাতন

মানিকগঞ্জের দৌলতপুর এলাকায় চতুর্থ শ্রেণির এক শিক্ষার্থী ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে তার স্বজনরা অভিযোগ করেছেন। ওই শিক্ষার্থীর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

গত ২৩ অক্টোবর ওই শিশুটি ধর্ষণের শিকার হয়। শিশুটির বাবা বাংলা ট্রিবিউনকে বুধবার সন্ধ্যায় এই অভিযোগ করেন। এদিকে ওই ঘটনায় অভিযুক্ত হুরমুজ মৃধার বয়স নিয়েও পরস্পরবিরোধী তথ্য পাওয়া গেছে। শিশুটির স্বজনরা তার বয়স ৬০ বছর বলে জানালেও দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হুরমুজের বয়স ৮৫ বলে দাবি করেছেন।

শিশুর এক স্বজন জানান, গত ২৩ অক্টোবর প্রতিবেশী হুরমুজ মৃধা (৬০) শিশুটিকে বাড়িতে একা পেয়ে ধর্ষণ করে। বিষয়টি শিশুটির মা দেখে ফেলেন। এরপর ২৪ অক্টোবর তাকে মানিকগঞ্জ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু ওই হাসপাতাল কোনও রিপোর্ট দেয়নি। এরপর থানায় গেলেও পুলিশ তাদের তেমন সহযোগিতা করেনি। তারা ২৭ অক্টোবর দৌলতপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেন। কিন্তু ধর্ষককে এখনও গ্রেফতার করেনি পুলিশ।

দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রকিবুজ্জামান বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্টকে বলেন, ‘ঘটনা ২৩ অক্টোবর হলেও আমরা জানতে পারি ২৭ অক্টোবর। শিশুটির পরিবার তাকে নিয়ে মানিকগঞ্জ হাসপাতালে গিয়েছিল। সেখানে আমাদের এক কর্মকর্তাকে পাঠিয়ে মামলা নেই। আবার আমাদের কাছে কিছু না জানিয়ে তারা ঢামেক হাসপাতালে গেছে। তাও জানি না।’

তিনি বলেন, ‘যে ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে, তার বয়স ৮৫ বছর। তারা এই ঘটনাটি নিয়ে থানায় মামলা করার আগেই মানিকগঞ্জ নারী-শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলার জন্য আবেদন করেছিল। কিন্তু আদালত অভিযুক্তকে দেখে মামলা খারিজ করে দেয়। এরপর তারা থানায় অভিযোগ করেন।’

ওসি বলেন, ‘আমরা মামলা নিয়েছি ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ। মামলাটি এখনও তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষ হলে বলতে পারবো আসলে প্রকৃত ঘটনা কি?’

/এআরআর/টিএন/