জিবুতি প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আলোচনায় সৌদিতে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত

জিবুতির প্রেসিডেন্ট ইসমাঈল ওমর গুয়েলেহ্ ও বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত গোলাম মসিহ

আফ্রিকার উত্তর-পশ্চিম উপদ্বীপ গণপ্রজাতন্ত্রী জিবুতি। দেশটিতে ৭ দিনের সফর করেন সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত গোলাম মসিহ। এ সময় তিনি জিবুতি’র প্রেসিডেন্ট ইসমাঈল ওমর গুয়েলেহ্’র কাছে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির দেওয়া দূতাবাসের কার্যনিযুক্তির প্রত্যয়নপত্র হস্তান্তর করেন।

জিবুতি প্রেসিডেন্ট পত্রটি আনুষ্ঠানিক গ্রহণ করার পর এক দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় রাষ্ট্রদূত গোলাম মসিহ্ বাংলাদেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের বৈশিষ্ট্যগুলি তুলে ধরেন। পরে জিবুতির সঙ্গে বিনিয়োগ, জনশক্তি রফতানি ও বাংলাদেশি পণ্য রফতানির সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা হয়।

এ সময় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের কাছে নিজ দেশে বেশ কিছু নতুন প্রকল্প বাস্তবায়নের ইঙ্গিত দেন জিবুতি প্রেসিডেন্ট ইসমাঈল ওমর গুয়েলেহ্। রাষ্ট্রদূত গোলাম মসিহ্ এসব প্রকল্পে বাংলাদেশ থেকে দক্ষ জনশক্তি কাজে লাগানোর সম্ভাবনা তুলে ধরেন। পরে জিবুতির প্রেসিডেন্টকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান তিনি।

১৬ নভেম্বর সৌদি আরবে বাংলাদেশ দূতাবাসের এক তথ্যবিবরণীতে এ খবর জানিয়ে বলা হয়, বাণিজ্য-সম্ভাবনার বেশ কিছু মৌলিক বিষয়সহ দুই দেশের সম্পর্ক উন্নয়নেও ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে।

এ ছাড়া রাষ্ট্রদূত গোলাম মসিহ্ জিবুতির পররাষ্ট্রমন্ত্রী এম মো. আলী ইউসুফ, প্রধান প্রটোকল এম মো. আলী জামা এবং সে দেশের জাতীয় প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল ইনভেস্টমেন্ট প্রোমোশন অ্যাজেন্সির প্রধান পরিচালক মাহাদি দারার অবসিহ্-এর সঙ্গে আলাদাভাবে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেছেন।

এদিকে ১৭ নভেম্বর সৌদি আরবে বাংলাদেশ দূতাবাসের কার্যালয় প্রধান মো. নজরুল ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, রাষ্ট্রদূতের এই সাক্ষাৎকারে সে দেশে সাম্প্রতিক সময়ে হাতে নেওয়া বড় ধরনের রেল প্রকল্পে বাংলাদেশ থেকে দক্ষ জনশক্তি পাঠানোর সম্ভাবনা রয়েছে।

তিনি বলেন, ওআইসিভুক্ত জিবুতি শান্ত প্রকৃতির দেশ। সেখানে বাংলাদেশের বেশকিছু পণ্যের চাহিদা রয়েছে। ধারাবাহিকভাবে রফতানিকৃত পণ্যগুলোর মধ্যে প্রাণ-এর দ্রব্যচাহিদা জিবুতিদের কাছে উল্লেখযোগ্য। এ ছাড়া বাংলাদেশের ঔষধ, গার্মেন্ট পণ্য এবং সী-পোর্ট নির্মাণে জিবুতিতে বাংলাদেশ থেকে দক্ষ এবং অদক্ষ জনশক্তি আমদানির সম্ভাবনা রয়েছে।

উল্লেখ্য, সোমালিয়া এবং জিবুতি দেশ দুটিতে দূতাবাসভিত্তিক কার্যক্রম তদারক করার জন্য সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশ দূতাবাস দায়িত্বে রয়েছে। যে কোনও রাষ্ট্রদূত বহির্দেশে কর্মনিযুক্তি পাওয়ার পর সে দেশের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাত করে নিজের উপস্থিতি জানান দেওয়ার আন্তর্জাতিক রেওয়াজ রয়েছে।

সৌদি আরবে রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিযুক্তি পাওয়ার পর অনেকটা দেরি করে হলেও গণপ্রজাতন্ত্রী জিবুতির প্রেসিডেন্টের কাছে নিজের পরিচয়পত্র উপস্থাপন করলেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত গোলাম মসিহ্। 

/এইচকে/