‘জেন্ডার সংবেদনশীল পাঠ্যবই কমাবে নারীর প্রতি সংহিসতা'

15215976_1131820653532938_755894867_o

জেন্ডার সংবেদনশীল পাঠ্যবই নারীর প্রতি সংহিসতা কমাবে বলে মন্তব্য করেছেন সমাজকর্মী ও বিশিষ্ঠ জনরা। নারীর জন্য নির্যাতনমুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করতে সুনির্দিষ্ট কর্ম পরিকল্পনা, স্কুলে কাউন্সিলিং ব্যবস্থা চালু করা এবং নারী শিক্ষার্থীদের আত্মরক্ষামূলক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে শিক্ষা বাজেটে বরাদ্দ বাড়ানোর দাবিও করেছেন।

সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে 'নারী ও কিশোরীদের প্রতি সহিংসতা নিরসনে নিরাপদ স্কুল ও নিরাপদ সমাজ' শীর্ষক জাতীয় পর্যায়ে এক পরামর্শ সভায় এসব কথা বলেন বক্তরা। সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘ (বিএনপিএস)।

সভার প্রধান অতিথি মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. ওহিদুজ্জামান বলেন, ‘নারীর প্রতি সহিংসতা গণতন্ত্র, নারী-পুরুষ সমতা ও মানবাধিকারের অন্তরায়। আর এর থেকে মেয়েদেরকে রক্ষা করতে হলে পাঠ্যসূচিতে সচেতন বার্তা অন্তর্ভুক্ত করা জরুরি। আমরা ইতোমধ্যে পাঠ্য বইয়ে তা অন্তর্ভুক্ত করেছি। এখন পাঠ্যবই কিভাবে জেন্ডার সংবেদনশীল করা তার পরিকল্পনা করে যাচ্ছি।’

মহিলা বিষয়ক অধিদফতরের পরিচালক শাহনওয়াজ দিলরুবা খান বলেন, নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে সচেতনতা বেড়েছে। তবে উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে, সচেতনতার সঙ্গে সঙ্গে নির্যাতনের প্রকটতা, ধরন, সংখ্যাও বেড়ে গেছে। নারী নির্যাতনে বন্ধে সরকারের পাশাপাশি পরিবার ও সমাজকে এগিয়ে আসতে হবে।

ইনোভেশন ফর ওয়েলিবিয়িং ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক মনিরা রহমান বলেন, পাঠ্যবই জেন্ডার সংবেদনশীল করার পাশাপাশি শিক্ষকদের মানসিক স্বাস্থ্য প্রশিক্ষণ দিয়ে তাদেরকে সচেতন করতে হবে।

শিক্ষাবিদ সালমা আখতরা বলেন, নারী নির্যাতন প্রতিরোধে যুব-কিশোরদের সচেতন করার পাশাপাশি পাড়ায় পাড়ায় প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।

ইউএন ওমেন বাংলাদেশ এর কান্ট্রি রিপ্রেন্টেটেটিভ ক্রিস্টিন হান্টার বলেন, নির্যাতনের কারণে নারীর স্বাভাবিক বিকাশ ব্যাহত হয়। নির্যাতনের শিকার মেয়েরা বিচার চেয়ে বিচার পাচ্ছে না। তাদের বিচার নিশ্চিত করা খুবই প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেন তিনি।

বিএনপিএস-এর নির্বাহী পরিচালক রোকেয়া কবীর বলেন, নারী নির্যাতন বন্ধে পরিবার থেকে সচেতনতা বাড়াতে হবে। পরিবারের গণতন্ত্র চর্চা থাকলে সে প্রভাব সমাজ ও রাষ্ট্রে পড়বে। ফলে পাঠ্যবইকে আরও জেন্ডার সংবেদনশীল করতে হবে। পাশাপাশি জেন্ডার সংবেদনশীলতা বিষয়ে শিক্ষক প্রশিক্ষনের জন্য ব্যবস্থা ও বরাদ্দ বাড়াতে হবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী ও প্রশাসনের ব্যক্তিবর্গকে বাধ্যতামূলকভাবে এ প্রশিক্ষণের আওতায় আনতে হবে বলেও জানান তিনি।

 /আরএআর/এসটি/