গত বুধবার কমনওয়েলথ-এর ওয়েবসাইটে ও কমনওয়েলথ ইয়ুথ ম্যাগাজিন ‘ইওর কমনওয়েলথ’-এ প্রতিবেদন ছাপা হয় এ বিষয়ে।
সম্প্রতি তরুণ প্রজন্মের উন্নয়নে কমনওয়েলথ-এর ভাবনা জানতে মহাসচিব প্যাট্রিসিয়া স্কটল্যান্ডের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন নাহিয়ান। এ সময় কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোর তরুণ প্রজন্মের সমস্যা ও সম্ভাবনা বিষয়ে নাহিয়ানের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন কমনওয়েলথ মহাসচিব।
এসময় প্যাট্রিসিয়া স্কটল্যান্ড জানান,কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোর তরুণ প্রজন্মের উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সহায়তা দিতে কমনওয়েলথ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তরুণরা যে নিজেদের ভবিষ্যত লক্ষ্য অর্জন করতে পারছে, তা দেখতে চায় কমনওয়েলথ। কারণ তরুণরাই সমাজের ভবিষ্যত। আকাঙ্ক্ষা, অনুপ্রেরণা ও মেধা থাকলে তরুণরা যা চায় তা অর্জন করতে পারে।
রাজনীতির প্রতি তরুণ প্রজন্মের উদাসীনতা বিষয়ে কমনওয়েলথ মহাসচিবের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, ‘তরুণ প্রজন্মের বড় একটি অংশ রাজনীতি থেকে দূরে থাকতে চায়। তরুণদের বুঝতে হবে, আমাদের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রের সঙ্গে রাজনীতি জড়িত।’
কমনওয়েলথ মহাসচিবের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে নিজের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে একটি ফিচার লিখেন নাহিয়ান, যা কমনওয়েলথের মূল ওয়েবসাইট ‘দ্যা কমনওয়েলথ’ ও কমনওয়েলথ ইয়ুথ ম্যাগাজিন ‘ইওর কমনওয়েলথ’ ফলাও করে প্রচার করে। কমনওয়েলথ মহাসচিব প্যাট্রিসিয়া স্কটল্যান্ডের সঙ্গে এ সাক্ষাৎ ভবিষ্যত নিয়ে তাকে আশাবাদী করে তুলেছে বলে ফিচারে মন্তব্য করেন নাহিয়ান। তার মতে, কমনওয়েলথ-এর মতো শীর্ষ সংস্থাগুলোর সহযোগিতা পেলে তরুণ প্রজন্ম তাদের স্বপ্নপূরণের পথে অবশ্যই সফলতা পাবে। ‘তরুণ প্রজন্ম ড্রাইভিং সিটে, আর কিভাবে ড্রাইভ করতে হয় তা শেখাতে প্যাট্রিসিয়া স্কটল্যান্ড ইন্সট্রাক্টর হিসাবে পাশের সিটে’- তরুণ প্রজন্মের প্রতি কমনওয়েলথ মহাসচিবের পরামর্শকে নাহিয়ান এভাবেই বিশ্লেষণ করেন তার ফিচারে।
উল্লেখ্য, লন্ডনের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ইলফোর্ড কাউন্টি হাইস্কুলের ইয়ার-১১ এর ছাত্র নাহিয়ান বিশিষ্ট সাংবাদিক সৈয়দ আনাস পাশা ও সৈয়দা ফেরদৌসি পাশা কলি'র সন্তান। লেখাপড়ার পাশাপাশি রেডব্রিজ ইয়ুথ কাউন্সিলের ‘ইয়াং ক্যাবিনেট মেম্বার’-এর দায়িত্ব পালন করছেন তিনি।
এএআর /