প্রতিবেদনে বলা হয়, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বয়স্কদের তুলনায় শিশুরা বেশি ঝুঁকিতে আছে। জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে যেসব রোগব্যাধি দেখা দিচ্ছে তার প্রায় ৮৫ শতাংশ আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। পাশাপাশি জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে শিশুদের মধ্যে পানি ও বাতাসবাহিত রোগব্যাধি, অপুষ্টি, দুর্যোগকালীন মৃত্যু ও আঘাতের হার বাড়ছে। এর সুরাহা না হলে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকির মুখে থাকা শিশুরাই দীর্ঘমেয়াদে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ২০০৮ সাল থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে প্রায় ৪৭ লাখ মানুষ গৃহহীন হয়েছে। যেখানে ঢাকার ৭০ শতাংশ বস্তিবাসী পরিবেশগত অভিবাসী। এছাড়া, প্রাথমিক শিক্ষা গ্রহণের সার্বজনীন সুযোগ, স্বাস্থ্যসেবা, নিরাপদ পানি, শিশুবিবাহ ও শিশুশ্রম বন্ধ এবং ক্ষুধা ও অপুষ্টি দূরীকরণের মতো বাংলাদেশের উন্নয়নমূলক অর্জনগুলো হুমকির মুখে ফেলছে জলবায়ু পরিবর্তন।
অনুষ্ঠানে ইউনিসেফ বাংলাদেশের প্রতিনিধি এডুওয়ার্ড বিগবেডার বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবসমূহ সুস্পষ্ট, যা সামাঞ্জস্যহীনভাবে শিশুদের ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ২০২০ সালের মধ্যে সামাজিক খাতের বাজেটের ২০ শতাংশ শিশুদের পেছনে বিনিয়োগ করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছে ইউনিসেফ।’
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনৈতিক বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব ও সদস্য অধ্যাপক শামসুল আলম, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের মহাপরিচালক মো. রিয়াজ আহমেদ, বাংলাদেশ সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড স্টাডিজের নির্বাহী পরিচালক ড. এ আতিক রহমান প্রমুখ।
- বগুড়ায় সৎ মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে বাবা গ্রেফতার
- জেনেভা ক্যাম্পের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার অভিযোগ
/সিএ/এমও/