যৌক্তিক কারণ ছাড়া বারবার সময় চাইলে মানুষের হয়রানি বাঁচাতে এবং ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় মামলা খারিজ করার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে জেলা ম্যজিস্ট্রেটকে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. মাকছুদুর রহমান পাটওয়ারী বাংলা ট্রিবিউনকে এসব তথ্য জানিয়েছেন। শুক্রবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সিআরপিসির আওতায় বিচারাধীন সব মামলা নিষ্পত্তি করতে জেলা প্রশাসকদের এ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’
জানা গেছে, ৭ ধারা, ১৪৪ ধারা এবং সরকারি কাজে বাধা দেওয়া সংক্রান্ত বিভিন্ন মামলা অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মাধ্যমে দ্রুত নিষ্পত্তি করার কথা বলা হয়েছে। জেলা ও দায়রা জজ আদালতে ২০ বছরের পুরনো মামলাও অনিষ্পন্ন রয়েছে। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালত যেন এমন সমস্যায় না পড়ে, সেজন্য এমন নির্দেশ এসেছে।
এটি বাস্তবায়নের জন্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের জেলা ম্যাজিস্ট্রেসি পরীবিক্ষণ অধিশাখার অতিরিক্ত সচিব ও সব বিভাগীয় কমিশনারদের মনিটরিং করতে বলা হয়েছে। সম্প্রতি এ বিভাগে অনুষ্ঠিত বিভাগীয় কমিশনার সভার সিদ্ধান্তের আলোকে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।
সমন্বয় সভার সিদ্ধান্তে আরও জানানো হয়, চট্টগ্রাম ছাড়া অন্য সব জেলার লক্ষ্য অর্জিত হয়েছে। সভার কার্যপত্রে বলা হয়— ফেনী, নরসিংদী, ঢাকা, নওগাঁ ও খুলনা জেলার অনিষ্পন্ন অধিকাংশ মামলা নিষ্পত্তি হওয়ায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সন্তোষ প্রকাশ করেছে। সভায় এসব জেলার ২০১৪ ও ২০১৫ সালের মামলা আগামী জুনের মধ্যে নিষ্পত্তির জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়।
নির্দেশনা অনুযায়ী, ফৌজদারি কার্যবিধির আওতায় ২০১১, ২০১২, ২০১৩, ২০১৪ এবং ২০১৫ সালে দায়ের করা সব জেলার মামলা ২০১৭ সালের জুন মাসের মধ্যে বিধিমতে নিষ্পন্ন করতে হবে। এছাড়া ফরিদপুর, বাগেরহাট ও দিনাজপুর জেলায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালত এবং চট্টগ্রাম জেলায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তির লক্ষ্যপূরণ না হওয়ায় বিভাগীয় কমিশনারদের এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে দিনাজপুরের জেলা প্রশাসক মীর খায়রুল আলম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘সাক্ষী বা বাদীর অনুপস্থিতির কারণে বারবার সময় চাওয়ায় অনেক সময় মামলা নিষ্পত্তি করার ক্ষেত্রে বিলম্ব হয়। তাছাড়া ২০১৪ সালের কিছু জটিল পুরনো মামলা রয়েছে, সেগুলোও সমস্যা তৈরি করে।’
এসএমএ/জেএইচ/এএআর/