নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, নিহত মাহাবুব আলম ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার কাশিনগর গ্রামের ফজলুল হকের ছেলে। ছয় ভাইয়ের মধ্যে মাহাবুব আলম দ্বিতীয়। তিনি কিশোরগঞ্জের গুরুদয়াল বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্র ছিলেন।
নিহতের চাচাত ভাই আবুল হাসেম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমি ও মাহাবুব চাকরির সন্ধানে গত রবিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) গাজীপুরে এক আত্মীয়ের বাসায় আসি। গত তিন দিন ধরে আমরা চাকরির বিজ্ঞাপন দেখে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে যোগাযোগ করেছিলাম।’
আবুল হাসেম আরও বলেন, ‘বুধবার (১ মার্চ) বিকালে মাহাবুব চাকরির জন্যই গাজীপুর থেকে খিলক্ষেত যান। সন্ধ্যার পর খিলক্ষেত রেলগেটের কাছে তিনি দুই রেললাইনের মাঝখানে প্রস্রাব করার জন্য যান। এমন সময় দুই দিক থেকে দু’টি ট্রেন আসে। তিনি উঠে দাঁড়াতেই একটি ট্রেনের ধাক্কায় গুরুতর আহত হন।’
আহত অবস্থায় মাহাবুবকে উদ্ধার করে প্রথমে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে রাত ১০টায় তাকে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢামেক মর্গে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন এসআই বাচ্চু মিয়া।
আরও পড়ুন-
পর্যটন ও বিমানের ৭ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকের চার্জশিট
/এআইবি/টিআর/