বৃহস্পতিবার দুপুরে ময়নাতদন্ত শেষে শাহিনুরের লাশ এসআই মহেশচন্দ্র সিংহের কাছে তুলে দেওয়া হয়েছে। লাশটি ময়নাতদন্ত করেন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান সোহেল মাহমুদ। তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘শটগানের গুলিতেই মারা গেছেন শাহিনুর। তার সারা শরীরে ছোট ছোট বুলেট ছিল। অসংখ্য দাগে ভরা, অনেকটা ছররা গুলির মতো।’ ময়নাতদন্ত শেষে তারা পুলিশের কাছে লাশ হস্তান্তর করেছেন বলেও জানান। ময়নাতদন্তকারী কর্মকর্তার অনুমান লাশটি চব্বিশ ঘণ্টা আগের হয়ে থাকতে পারে। ফ্রিজে থাকায় সঠিক সময় বলা সম্ভব হচ্ছে না।
প্রসঙ্গত, ২০১১ সালে চলচ্চিত্রকার তারেক মাসুদ ও চিত্রগ্রাহক সাংবাদিক মিশুক মুনীর এর নিহতের ঘটনায় এক বাসচালকের যাবজ্জীবন সাজা দেওয়ায় ২৬ ফেব্রুয়ারি থেকে খুলনা বিভাগের দশ জেলায় পরিবহন ধর্মঘট চলছিল। আর সাভারে ট্রাকচাপা দিয়ে এক নারীকে হত্যার দায়ে আদালত ২৭ ফেব্রুয়ারি ট্রাকচালকের মৃত্যুদণ্ড দিলে এই ধর্মঘট অনির্দিষ্টকালের জন্য দেশব্যাপী পালন করতে শুরু করে শ্রমিকরা।
গত মঙ্গলবার রাত থেকে রাজধানীর গাবতলিতে অবস্থান নেয় শ্রমিকেরা। সারারাত পুলিশ শ্রমিক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসময় শ্রমিকরা পুলিশের গাড়িসহ বেশিকিছু স্থাপনায় আগুন ধরিয়ে দেন। সংঘর্ষের এক পর্যায়ে বুধবার সকালে গুলিবিদ্ধ হন শাহিনুর।
/ইউআই/ এপিএইচ/