মোবাইল ফোন চুরির মামলায় বিমান কর্মকর্তা রিমান্ডে

High-Court-1_2হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজ থেকে মোবাইল ফোনসেট চুরির মামলায় আটক  বিমানের কমার্শিয়াল সুপারভাইজর ইশতিয়াক বিন হোসেনকে একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।রবিবার তাকে আটক করা হয়। সোমবার আদালতে হাজির করে রিমান্ডের আবেদন করা হলে আদালত এ আদেশ দেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজের ভেতর থেকে এক্সেল টেলিকমের আমদানি করা মোবাইল ফোনের কার্টন কেটে ১৬টি ট্যাব ও ৬০টি স্যামসাং মোবাইল সেট চুরি হয়  গত বছরের নভেম্বর মাসে। এ ঘটনায় এক্সেল টেলিকমের কর্মকর্তা সৈয়দ মোহাম্মদ ইউনুস বাদী হয়ে বিমানবন্দর থানায় একটি মামলা (মামলা নম্বর -৩৯)দায়ের করেন। তিন মাসেও মামলার কোনও অগ্রগতি না থাকায়  পুলিশ সদর দফতর থেকে  মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই)।
এরপর মোবাইল ফোনের আইএমইআই  নম্বর ট্র্যাকিং করে রবিবার ইশতিয়াককে আটক করে পিবিআই। বাংলা ট্রিবিউনকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআইর পরিদর্শক আলমগীর সিদ্দিক।
সূত্র জানায়, চুরি যাওয়া মোবাইল ফোনসেটগুলোর আইএমইআই  নম্বর  ট্র্যাকিং করে পিবিআইর তদন্ত কর্মকর্তারা দেখতে পান, চুরি হওয়া ফোনসেটগুলোর  একটি  বিমানবন্দর  এলাকায় ব্যবহৃত  হচ্ছে। সেটি ব্যবহার করেছিলেন একজন নারী। সেই নারীর সঙ্গে যোগাযোগ করে পুলিশ জানতে পারেন, এই ফোনসেটটি তাকে দিয়েছেন তার স্বামী বিমানের  কমার্শিয়াল সুপারভাইজর ইশতিয়াক বিন হোসেন।রবিবার বিকেলে ওই ফোনসেটের  বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে পুলিশকে  কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি ইশতিয়াক। এ ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে তাকে আটক করে পুলিশ। সোমবার তাকে আদালতে হাজির করে একদিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়।

এ প্রসঙ্গে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই’র পরিদর্শক আলমগীর সিদ্দিক বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন,‘চুরি হওয়া মোবাইল ব্যবহার করছিলেন বিমানের  (কার্গো) কমার্শিয়াল সুপারভাইজার ইশতিয়াক বিন হোসেনের স্ত্রী। তবে ফোনটি ক্রয় সংক্রান্ত কোনও তথ্য  দিতে পারেননি ইশতিয়াক। তাই ফোনসেটটি সহ তাকে আটক করা হয়। কার্গো ভিলেজসহ বিমান বন্দরের চোরচক্রের সঙ্গে তার সম্পৃক্ততা থাকতে পারে।

/সিএ/ এপিএইচ/

আরও পড়ুন:‘রাঙাপ্রভাত’ নিয়ে বেকায়দায় বিমান