এর আগে গত ১৩ মার্চ মামলার শুনানি শেষ হলে বিচারপতি রায় ঘোষণার জন্য ২৩ মার্চ দিন নির্ধারণ করে দেন। আদালতে এরশাদের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী শেখ সিরাজুল ইসলাম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নজিবুর রহমান।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ১৯৮৩ সালের ১১ ডিসেম্বর থেকে ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে এরশাদ বিভিন্ন স্থান থেকে পাওয়া উপহার রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেননি। এসব অভিযোগের ভিত্তিতে ১৯৯১ সালের ৮ জানুয়ারি তৎকালীন দুর্নীতি দমন ব্যুরোর উপপরিচালক সালেহউদ্দিন আহমেদ রাজধানীর সেনানিবাস থানায় এরশাদের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন।
ওই মামলায় ১৯৯২ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতের রায়ে এরশাদকে তিন বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়। গত বছরের ৩০ নভেম্বর দুর্নীতি মামলার সাজার বিরুদ্ধে এরশাদের আপিল শুনানি শুরু হয়। দীর্ঘ ২৪ বছর পর এরশাদের সাজার বিরুদ্ধে আপিল শুনানি শুরুর উদ্যোগ নেয় দুদক।
দুদকের আইনজীবী খুরশিদ আলম খান সাংবাদিকদের বলেন, ‘এ মামলার বিষয়ে আরও দুটি আবেদন শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে। সেসবের নিষ্পত্তি না হলে, আদালত রায় না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে সব নথি প্রধান বিচারপতি বরাবর পাঠিয়ে দিয়েছেন।পরবর্তী প্রক্রিয়া প্রধান বিচারপতি নির্ধারণ করবেন। আমরা দ্রুতই কোনও একটি রায় পাবো বলে মনে করছি।’
/এমটি/ইউআই/