এ লক্ষ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রমের ওপর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তারা আগামী ৩০ মার্চের মধ্যে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের কাছে প্রতিবেদন পাঠাবেন। উপজেলা কর্মকর্তাদের ওই প্রতিবেদন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তারা নির্দিষ্ট ছকে প্রস্তুত করে আগামী ৪ এপ্রিলের মধ্যে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরে (মাউশি)পাঠাবেন। বৃহস্পতিবার মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতর (মাউশি) থেকে এ নির্দেশনা জারি করা হয়।
মাউশি’র মহাপরিচালক প্রফেসর ড. এস এম ওয়াহিদুজ্জামান স্বাক্ষরিত ওই নির্দেশনায় বলা হয়, ২০২১ রূপকল্প বাস্তবায়নে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের নেওয়া বিভিন্ন উদ্যোগ বাস্তবায়নে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা নিয়মিত পরিদর্শন করে থাকেন। এরমধ্যে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম কার্যক্রম গতিশীল করতে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের মনিটরিং অ্যান্ড ইভ্যালুয়েশন উয়িংয়ের তত্ত্বাবধানে ফলোআপ করা হবে।
প্রসঙ্গত, ‘তথ্য-প্রযুক্তি শিক্ষা নয়, শিক্ষায় তথ্য-প্রযুক্তির ব্যবহার’, এই শ্লোগানকে সামনে রেখে ২০১২ সালের ২০ মে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশের সকল মাধ্যমিক ও প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম ও শিক্ষকদের দিয়ে ডিজিটাল কনটেন্ট তৈরি কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। ২০১৫ সালের ২ জুন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের কবরী হলে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুমের তৃতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম করার ঘোষণা দেন। এ পর্যন্ত দেশে ২৩ হাজার ৩৩১টি মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম প্রতিষ্ঠা করা হয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক প্রকল্পের আওতায় প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে একটি করে মাল্টিমিডিয়া ক্লাম করা হয়েছে।ওই শ্রেণিকক্ষে ল্যাপটপ, স্পিকার, ইন্টারনেট মডেম, মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর ও স্ত্রিন সরবরাহ করা হয়। এতে প্রয়োজনীয় সার্বিক সহায়তা দিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর একসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) প্রোগ্রাম। তবে বর্তমানে অনেকটাই অকার্যকর হয়ে পড়েছে এসব মাল্টিমিডিয়া ক্লারুম।
/এসএমএ/ এপিএইচ/