ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের দ্বন্দ্ব: ঢামেকের ফজলে রাব্বী হল বন্ধ

ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের (ঢামেক) ফজলে রাব্বী হলের বহির্ভাগছাত্রলীগের দুই গ্রুপের দ্বন্দ্বের ঘটনায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের (ঢামেক) ফজলে রাব্বী হল ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে শিক্ষার্থীদের। মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) রাত ৭টার মধ্যে শিক্ষার্থীদের হলত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়। উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সামাল দিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য হল বন্ধ ঘোষণা করেছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। 

ঢামেকের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মো. ইসমাইল খান মঙ্গলবার রাতে বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, এদিন সন্ধ্যায় অনিবার্য কারণে জরুরি ভিত্তিতে অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল সভা হয়েছে। পরে সদস্যরা ফজলে রাব্বী হল পরিদর্শন করে আপাতত হল বন্ধ এবং রাত ৭টার মধ্যে হলত্যাগ করার জন্য ছাত্রদের নির্দেশ দেন। 

লালবাগ জোনের ডিসি মো. কামাল হোসেন রাতে বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, রাত ৭টার মধ্যে ছাত্ররা হল ছেড়েছেন। তবে কর্তৃপক্ষের নির্দেশে ১৪ বিদেশি ছাত্র হলে অবস্থান করতে পারবেন।

জানা যায়, ঢামেকের বিভিন্ন ব্যাচের ছাত্রদের মধ্যে কিছুদিন ধরে অন্তর্দ্বন্দ্ব চলছিল। মঙ্গলবার সকালে ৭৩ ব্যাচের ছাত্র সাঈদের সঙ্গে ৭২ ও ৭৪ ব্যাচের কয়েকজন ছাত্রের দ্বন্দ্ব হয়। তারা সাঈদকে মারধর করলে তার পক্ষ নেয় ৭২ ব্যাচের লিমন। এ নিয়ে তিন ব্যাচের ছাত্রদের মধ্যে দিনভর ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। দুপুরে ফজলে রাব্বী হলের শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে উত্তেজনা ছড়ায়। 

এক পর্যায়ে সিনিয়র ও জুনিয়র শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এতে দুই শিক্ষার্থী আহত হন। তাদের একজন বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, হল ছেড়ে যাওয়ার আগে ছাত্ররা ব্যাপক ভাঙচুর করেছে।

ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের (ঢামেক) ফজলে রাব্বী হলের অভ্যন্তরে ভাঙচুরের পররমনা জোনের ডিসি মারুফ হোসেন সর্দার ও শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেছেন, ‘তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে ছাত্রদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন ছিল। তবে সেখানে বড় ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। পরিস্থিতি আমাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।’

/এআইবি/জেএ/জেএইচ/