সিটিটিসি’র সোয়াট টিম এ অভিযান পরিচালনা করে বলে জানান ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘সীতাকুণ্ডের অভিযানে যে ধরনের আইইডি পাওয়া গিয়েছিল এখানকার আইইডি একই রকম।সীতকুণ্ডে অবিস্ফোরিত যে বোমা পাওয়া গিয়েছিল বিমানবন্দরে আত্মঘাতী জঙ্গির কাছে পাওয়া বোমার সঙ্গে তার মিল ছিল। প্রবেশ দ্বারসহ স্ট্র্যাটেজি পয়েন্টে যে বোমা ও গ্রেনেড ছিল ঢাকা থেকে আনা ড্রোন দিয়ে সেগুলোর ছবি তুলে নিষ্ক্রিয় করা সম্ভব হয়েছে।’
অভিযান প্রসঙ্গে মনিরুল বলেন, ‘মৌলভীবাজার পুলিশ ফতেপুর আস্তানা ঘেরাও করে রাখে। গতকাল বুধবার সোয়াট ও বম্ব ডিজপোজালের ডিসি উপস্থিত হয়েছেন। গতকাল সোয়াট আসার পরে অভিযানের গুরুত্ব ও যেধরনের বিস্ফোরকের ভাণ্ডার ছিল, সেটি বিবেচনা করেই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।সিদ্ধান্ত হয়,সোয়াট টিম অপারেশন করবে। সোয়াট, এপিবিএন, কাউন্টার টেরোরিজমের অন্যান্য দলগুলো সাপোর্টিভ জায়গায় কাজ করবে।এসময় জঙ্গিরা ১২টি বিস্ফোরণ ঘটায়। সোয়াটের অভিযানের আগে মাইকে আত্মসমর্পণের জন্য জঙ্গিদের বারবার অনুরোধ জানানো হয়। তারা ওই সময়টাতেই প্রচণ্ড বিস্ফোরণ ঘটায়। প্রবেশমুখে শক্তিশালী গ্রেনেড ও বোমা ছড়ানো-ছিটানো ছিল। কাল সন্ধ্যায় সোয়াট প্রথম অভিযান শুরু করলে পালানোর পথ নাই দেখে সম্ভবত জঙ্গিরার সপরিবারে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আত্মহনন করেছে। সে এক বীভৎস চিত্র।ধারণা করা যাচ্ছে, সেখানে সাত-আটটি ডেড বডি হতে পারে। তারা সবাই নব্য জেএমবির সদস্য।
উল্লেখ্য, জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) রাত থেকে মৌলভীবাজার পৌরসভার বড়হাট এলাকায় একটি বাড়ি এবং খলিলপুর ইউনিয়নের সরকার বাজার এলাকার নাসিরপুর গ্রামের একটি বাড়িতে জঙ্গি আস্তানার সন্ধান পেয়ে ঘিরে রাখে পুলিশ ও সিটিটিসি।বুধবার সন্ধ্যায় নাসিরপুরের আস্তানায় অভিযান শুরু করে সোয়াট।পরে আলোর স্বল্পতার কারণে রাতে অভিযান স্থগিত রাখা হয়। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার পরে পুনরায় অভিযান শুরু করে সোয়াট। শহরের বড়হাট এলাকার জঙ্গি আস্তানাটি এখনও ঘিরে রেখেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
/সিএ / এপিএইচ/