নাসিরপুরের জঙ্গি আস্তানায় ৪ শিশু, ২ নারী ও ১ পুরুষের লাশ

নাসিরপুরে জঙ্গি আস্তানানাসিরপুরের জঙ্গি আস্তানা থেকে সাতটি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে একটি লাশ পুরুষের, দুইটি নারীর ও চারটি শিশুর। প্রাথমিক তদন্ত শেষে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালের রেসিডেন্সিয়াল মেডিক্যাল অফিসার (আরএমও) পলাশ রায় বাংলা ট্রিবিউনকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পলাশ রায় বলেন, ‘প্রাথমিক তদন্তে সাতটি মৃতদেহ শনাক্ত করা হয়েছে। আগামীকাল সকালে ময়নাতদন্ত হবে। তারপরই বিস্তারিত তথ্য জানানো সম্ভব হবে।’

এর আগে, নাসিরপুরের জঙ্গি আস্তানায় অপারেশন হিট ব্যাক শেষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম জানিয়েছিলেন, জঙ্গি আস্তানায় সাত থেকে আটটি লাশ রয়েছে। সেগুলো ছিন্নভিন্ন ছিল বলে লাশের সঠিক সংখ্যা তাৎক্ষণিকভাবে বলতে পারেননি তিনি।

উল্লেখ্য, জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) রাত থেকে মৌলভীবাজার পৌরসভার বড়হাট এলাকায় একটি বাড়ি এবং খলিলপুর ইউনিয়নের সরকার বাজার এলাকার নাসিরপুর গ্রামের একটি বাড়িতে জঙ্গি আস্তানার সন্ধান পেয়ে ঘিরে রাখে পুলিশ ও সিটিটিসি। বুধবার সন্ধ্যায় নাসিরপুরের আস্তানায় অভিযান শুরু করে সোয়াট। পরে আলোর স্বল্পতার কারণে রাতে অভিযান স্থগিত রাখা হয়। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার পরে পুনরায় অভিযান শুরু করে সোয়াট। বিকালে অভিযান শেষ হয়। শহরের বড়হাট এলাকার জঙ্গি আস্তানাটি এখনও ঘিরে রেখেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এদিকে, কুমিল্লার কোটবাড়ীতেও একটি জঙ্গি আস্তানা ঘিরে রেখেছে পুলিশ। বড়হাট ও কোটবাড়ির আস্তানা দুইটিতে শুক্রবার সকাল থেকেই অভিযান শুরু হতে পারে বলে জানিয়েছেন পুলিশ কর্মকর্তারা।

আরও পড়ুন-

‘জঙ্গিরা আত্মঘাতী হয়েছে’

নাসিরপুর জঙ্গি আস্তানায় ৭/৮টি মৃতদেহ

যেভাবে ড্রোন দিয়ে বোমা-বিস্ফোরক শনাক্ত করা হলো

নাসিরপুরে নিহতরা সবাই নব্য জেএমবির সদস্য: মনিরুল ইসলাম

আবহাওয়া ভালো থাকলে বড়হাটের ‘জঙ্গি আস্তানায়’ অভিযান সকালে

‘দেহ ছিন্নভিন্ন হওয়ায় নিহত জঙ্গিদের সঠিক সংখ্যা এখনই বলা যাচ্ছে না’

/টিআর/