মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) সচিবালয়ে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনীর ওপর ভিত্তি করে বৃত্তির ফল প্রকাশ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান।
প্রাথমিক শিক্ষাকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত উন্নীত করা প্রসঙ্গে অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বলেন, ‘শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে ষষ্ঠ, সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পাঠদান, স্বীকৃতি দেওয়া ও রেজিস্ট্রেশনের কাজগুলো আমাদের করার জন্য চিঠি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এই চিঠি দেওয়ার পরও কিছু কাজ থাকে। কেবিনেট পর্যায়ে কিছু কিছু কাজ আছে, সেই কাজগুলো উনারা (শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা) করছেন।’
গণশিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, ‘কাজটি (অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত প্রাথমিক) পেলে কী করব, তার জন্য গ্রাউন্ড ওয়ার্ক করছি। যেমন— জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) রোল কী হবে, এখন কী রোল আছে, এসব ঢেলে সাজানোর জন্য আমরা প্রস্তুতি নিয়েছি। উনারা (শিক্ষা মন্ত্রণালয়) ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণির দায়িত্ব ছেড়ে দিলে যেন আমরা চালাতে পারি, তা নিশ্চিত করার কাজ করছি। উপযুক্ততা পরীক্ষা করে নিশ্চয়ই ছাড়বে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।’
চলতি বছর জেএসসি পরীক্ষার দায়িত্বে কোন মন্ত্রণালয় থাকবে, এ প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘মন্ত্রিসভা থেকে যতক্ষণ পর্যন্ত চূড়ান্ত নির্দেশনা না আসছে, ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা দায়িত্ব নিতে পারছি না। আমাদের প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে, আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি।’
কবে নাগাদ এই প্রক্রিয়া বাস্তবায়িত হতে পারে জানতে চাইলে মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘২০১০-এর শিক্ষানীতির আলোকেই কাজ চলছে। প্রতটি কাজের শুরু আছে, শেষও আছে। আমি মনে করি, শিক্ষানীতি প্রণয়নে শিক্ষামন্ত্রী নেতৃত্ব দিয়েছেন। দু’টো মন্ত্রণালয় যুক্ত ছিল, আলাদা করা হয়েছে। উনি (শিক্ষামন্ত্রী) যখন জাতির সামনে অঙ্গীকার করেছেন যে ২০১৮ সালের মধ্যে প্রাথমিক শিক্ষাকে অষ্টম শ্রেণিতে উন্নীত করা হবে, নিশ্চয়ই তিনি সেটা করবেন। ভরসা রাখেন। কাজ এখন থেকে শুরু হয়েছে, বাস্তবায়নের শেষ ধাপটা ২০১৮ সালে হবে।’
সংবাদ সম্মেলনে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ আসিফ-উজ-জামানসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
/এসএমএ/টিআর/