কলেজশিক্ষিকা কৃষ্ণা কাবেরী হত্যার বিচার শুরু

আদালত

রাজধানীর আদাবরের কলেজশিক্ষিকা কৃষ্ণা কাবেরী বিশ্বাস হত্যা মামলার একমাত্র আসামি কে এম জহিরুল ইসলামের বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (২০ এপ্রিল) ঢাকার ১ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক শাহেদ নূর উদ্দীন আসামির পক্ষে দায়ের করা অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। একই আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের বিশেষ কৌঁসুলি আবু আবদুল্লাহ ভূইয়া বাংলা ট্রিবিউনকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবু আবদুল্লাহ ভূইয়া জানান, অভিযোগ গঠনের শুনানির সময় জহিরুলকে আদালতে হাজির করা হয়। তাকে অভিযোগ পড়ে শোনালে তিনি নিজেকে নির্দোষ দাবি করে আদালতের কাছে ন্যায়বিচার চান।

২০১৫ সালের ৩০ মার্চ নিজ বাসায় খুন হন কৃষ্ণা কাবেরী। ঘটনার পর তার বড়ভাই সুধাংশু শেখর বিশ্বাস জহিরুলকে আসামি করে মোহাম্মদপুর থানায় হত্যা মামলা করেন। গত ৩০ মে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক দেলোয়ার হোসেন। ২০১৫ সালের অক্টোবর মাসের প্রথম দিকে জহিরুল হক আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। পরে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

মামলার নথি থেকে জানা যায়, ৩০ মার্চ রাতে কৃষ্ণা কাবেরীর স্বামী সিতাংশু শেখর বিশ্বাসকে কেক, ফুল ও ফলের রস নিয়ে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাতে তাদের মোহাম্মদপুরের ইকবাল রোডের বাসায় আসেন পূর্ব-পরিচিত জহিরুল। এক পর্যায়ে সিতাংশু ও কৃষ্ণা এবং তাদের দুই মেয়ে শ্রবণা বিশ্বাস শ্রুতি ও অয়ত্রী বিশ্বাস অদ্বিতীয়াকে হাতুড়িপেটা করে বাসায় আগুন ধরিয়ে দেন জহিরুল। পরে অগ্নিদগ্ধ কৃষ্ণা কাবেরী ওই রাতেই হাসপাতালে মারা যান। নিহত কাবেরী আদাবরের মিশন ইন্টারন্যাশনাল কলেজের সমাজকল্যাণ বিভাগের প্রভাষক ছিলেন। আর তার স্বামী সিতাংশু শেখর বিশ্বাস বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) উপ-পরিচালক।

হামলার কারণ সম্পর্কে সিতাংশু জানিয়েছিলেন, হামলাকারী জহিরুল গুলশানে হাজী আহাম্মেদ ব্রাদার্স সিকিউরিটির ব্যবস্থাপক। ওই প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ রয়েছে। এ টাকা হাতিয়ে নিতেই হামলা করা হয়।

/এসআইটি/এমএ/