গ্লুকোমা চোখের নীরব ঘাতক

বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে চালু হয়েছে গ্লুকোমা ক্লিনিকডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ ও চোখে মাইনাস পাওয়ারের চশমা ব্যবহার করা মানুষ গ্লুকোমায় বেশি আক্রান্ত হয়ে থাকেন। আক্রান্তদের সঠিক জরিপ না থাকলেও চল্লিশ বছরের বেশি বয়সের মানুষের মধ্যে শতকরা ৩ দশমিক ৫ ভাগ গ্লুকোমায় আক্রান্ত।
মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে গ্লুকোমা ক্লিনিক এর উদ্বোধনকালে এ তথ্য জানান চক্ষু বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ডা. মো শফিকুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘গ্লুকোমা রোগটি চোখের নীরব ঘাতক। আক্রান্ত মানুষ বুঝতেই পারেন না যে, তিনি ধীরে ধীরে অন্ধ হয়ে যাচ্ছেন। তবে যথাসময়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে রোগীরা সুফল পেতে পারেন।’
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান  জানান, এই নীরব ঘাতক রোগটির সুচিকিৎসার জন্যই বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে গ্লুকোমা ক্লিনিক চালু হয়েছে। এছাড়া চক্ষু বিজ্ঞান বিভাগ ও কমিউনিটি অফথালমোলজি বিভাগের উদ্যোগে কেবিন ব্লকের তৃতীয় তলায় পেডিয়াট্রিক অফথালমোলজি ক্লিনিকও চালু হয়েছে।এই ক্লিনিকেরও উদ্বোধন করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান।
কমিউনিটি অফথালমোলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. সৈয়দ আব্দুল ওয়াদুদ জানান, শিশুদের দৃষ্টিজনিত সমস্যা, ভিটামিনের অভাবজনিত চোখের সমস্যা এবং ট্যারা চোখসহ শিশুদের চোখের বিভিন্ন রোগের অাধুনিক ও উন্নত চিকিৎসার জন্য পেডিয়াট্রিক অফথালমোলজি ক্লিনিকও চালু করা হয়েছে।

/জেএ/এসএমএ/ এপিএইচ/