সারোয়ার-তমিম গ্রুপের বোমা বিশেষজ্ঞ পাঁচ দিনের রিমান্ডে

নব্য জেএমবির বোমা বিশেষজ্ঞ মো. মুশফিকুর রহমান ওরফে জেনি। ছবি: ফোকাস বাংলানব্য জেএমবি সারোয়ার-তমিম গ্রুপের বোমা বিশেষজ্ঞ মো. মুশফিকুর রহমান ওরফে জেনিকে বাড্ডা থানায় দায়ের করা সন্ত্রাস বিরোধী আইনের মামলায় পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। বুধবার ঢাকা মহানগর হাকিম এএইচএম তোয়াহা জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আসামির ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

র‌্যাব-১০ এর কমান্ডিং অফিসার জাহাঙ্গীর হোসেন মাতুব্বর সংবাদ সম্মেলনে জানান,  ‘মুশফিকুর রহমান জেনি (২৮) জেএমবির সারওয়ার-তামিম গ্রুপের সদস্য। নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের জন্য শক্তিশালী রিমোট-নিয়ন্ত্রিত আইইডি বোমা বানানোর জন্য সে কাজ করছিল। তার বাড়ি কুমিল্লার বুড়িচং এলাকায়। তার বাবা ছিলেন সিভিল ইঞ্জিনিয়ার ।  মুশফিকুর রহমান ২০০৫ সালে বুয়েটে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ভর্তি হয়। কিন্তু সে পড়াশোনা শেষ করেনি। এই সময়ের মধ্যে সে জঙ্গিবাদে জড়িয়ে পড়ে এবং আইইডি বিশেষজ্ঞে পরিণত হয়।’

র‌্যাব কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর জানান, ‘মুশফিকুর রহমান স্বীকার করেছে, রিমোট দিয়ে তারা ১০০ মিটার দূর থেকে আইইডির বিস্ফোরণ ঘটাতে সক্ষম।’ এক প্রশ্নের উত্তরে র‌্যাব কর্মকর্তা জানান, ‘জঙ্গিদের এই গ্রুপটি রাজধানীর বাইরে পরীক্ষামূলকভাবে রিমোট নিয়ন্ত্রিত আইইডির বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে।’

তবে মুশফিকুর রহমান সহযোগীদের হাতে কোনও আইইডি সরবরাহ করেছে কিনা, তা নিশ্চিত হতে আরও তদন্ত করা প্রয়োজন বলেও র‌্যাব জানায়। 

এর আগে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও র‌্যাব-১০ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাজ্জাদ হোসেন বুধবার বিকেলে আসামিকে দায়ের হওয়া মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। রিমান্ড আবেদনে উল্লেখ করা হয়, এই মামলার অন্যান্য আসামিদের নাম ঠিকানা সংগ্রহ ও জড়িতদের তথ্য যাচাইয়ের জন্য এ আসামিকে সাত দিনের রিমান্ডে নেওয়া প্রয়োজন।

সংশ্লিষ্ট আদালতে সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা ও পুলিশের উপ-পরিদর্শক মো. মাসুম মিয়া বাংলা ট্রিবিউনকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘আসামির পক্ষে কোনও আইনজীবী ছিলেন না। চলতি বছরের ২১ মার্চ র‌্যাব-১০ এর ওয়ারেন্ট অফিসার মো. আজিজুর রহমান বাড্ডা থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় ১৬ জন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যার মধ্যে ৫ জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্ধি দিয়েছে। তাদের দেওয়ার তথ্যের ভিত্তিতে এ আসামিকে গ্রেফতার করা হয়।

/এসআইটি/এসএনএইচ/এএ/