অস্ট্রেলিয়া দূতাবাসের সামনের ফুটপাত উন্মুক্ত

দূতাবাসের সামনের ফুটপাত থেকে কংক্রিট প্লান্টার ব্লক অপসারণ করা হয়অবশেষে উন্মুক্ত হলো অস্ট্রেলিয়া দূতাবাসের সামনের ফুটপাত। বুধবার অভিযান চালিয়ে দূতাবাসের সামনের ফুটপাত থেকে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকারী ৩৩টি কংক্রিট প্লান্টার ব্লক অপসারণ করা হয়।

অন্যদিকে দূতাবাসের পেছনে ও দক্ষিণ দিকের ফুটপাত থেকে লোহার পোলসহ অন্যান্য প্রতিবন্ধকতা দূতাবাস কর্তৃপক্ষ আগামী সাত মে’র মধ্যে নিজ উদ্যোগে সরিয়ে নেবে বলে উচ্ছেদকারীদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

বুধবার সকালে পরিচালিত অভিযানে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মেসবাহুল ইসলাম, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. সাঈদ আনোয়ারুল ইসলাম।

প্রধান প্রকৌশলী সাঈদ আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘দূতাবাসের সামনের ফুটপাত থেকে ব্লকগুলো অপসারণ করায় সড়ক প্রশস্ত হওয়ার পাশাপাশি নাগরিকদের হাটাচলায়ও স্বাচ্ছন্দ্য আসবে।’

ডিএনসিসি জানিয়েছে, হাইকোর্টের একটি নির্দেশনার আলোকে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি অস্ট্রেলিয়া দূতাবাসসহ আটটি দূতাবাসকে ফুটপাত থেকে নিরাপত্তামূলক কংক্রিট প্লান্টার ও অন্যান্য প্রতিবন্ধকতা অপসারণের জন্য ডিএনসিসির পক্ষ থেকে চিঠি দিয়ে অনুরোধ জানানো হয়। অনুরোধে সাড়া দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস তাদের ভবনের পাশের ফুটপাত থেকে প্লান্টার সরিয়ে পথচারীদের চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়। কানাডা দূতাবাসও ফুটপাত উন্মুক্ত করে।

এরপর ইতালি, রাশিয়া, সৌদি আরব এবং পাকিস্তান দূতাবাসের সামনের ফুটপাত থেকে কংক্রিট প্লান্টার ব্লক অপসারণ করা হয়। একই বিষয়ে অস্ট্রেলিয়া দূতাবাসের সঙ্গে ডিএনসিসির মেয়র আনিসুল হক এবং অপর কর্মকর্তাদের কয়েক দফা আলোচনা হয়।

সর্বশেষ গত ২৩ এপ্রিল ডিএনসিসির প্রধান প্রকৌশলী ব্রি. জেনারেল মো. সাঈদ আনোয়ারুল ইসলামের নেতৃত্বে ডিএনসিসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অস্ট্রেলিয়া দূতাবাসের ডেপুটি হাইকমিশনার, দিল্লি থেকে আগত তাদের নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ এবং দূতাবাসের প্রকৌশলীসহ অপর কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করেন।

এ আলোচায় গৃহীত সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার দূতাবাসের সামনে গুলশান নর্থ অ্যাভিনিউয়ের পাশের ফুটপাত থেকে কংক্রিট প্লান্টার ব্লক অপসারণ করা হয়।

/ওএফ/ এপিএইচ/