ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের প্রাক্তন ওয়ার্ড কমিশনার হারুন চৌধুরীকে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ করেন বাদিপক্ষ।
এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের প্রধান পাবলিক প্রসিকিউটর আবদুল্লাহ আবু বলেন,‘আইনি বিধান অনুযায়ী গ্রেপ্তারের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আদালতে আসামি হাজির করতে হয়। যদি না করা হয়, তবে তা লিখিতভাবে আদালতকে জানাতে হবে। পুলিশ আসামিকে এভাবে ছেড়ে দিতে পারে না। আদালতকে যেকোনও পরিস্থিতি অবহিত করতেই হবে।’
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১৬ সালের শুরুর দিকে ১৪ বছরের এক কিশোরী প্রাক্তন কমিশনার হারুন চৌধুরীর বাসায় গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করতো। কাজে যোগ দেওয়ার আট থেকে নয় মাস পর ২০১৬ সালের ২২ অক্টোবর কিশোরীর বাবা মেয়েকে ঈদে বাড়ি পাঠানোর জন্য হারুন ও তার স্ত্রীর কাছে অনুরোধ করলেও তাকে বাড়িতে পাঠানো হয়নি। পরে কিশোরীর বাবা ঢাকায় আসামিদের বাসায় এসে তার মেয়ের খবর জানতে চাইলে তাকে আটকে রাখা হয়। কোনভাবেই মেয়ের খোঁজ না পেয়ে কিশোরীর বাবা হাজারীবাগ থানায় মামলা করতে যান। থানা মামলা না নেওয়ায় তিনি ওই বছর ২৭ অক্টোবর আদালতে মানব পাচার আইনের ৭/৮ ধারায় একটি নালিশী মামলা করেন।
পরে আদালতের নির্দেশে কাজে দিয়েছিল যে নারী, সেই আম্বিয়া খাতুন, প্রাক্তন ওয়ার্ড কমিশনার হারুন চৌধুরী, তার স্ত্রী, মেয়ে ও মেয়ের স্বামী লিটনের বিরুদ্ধে মামলা নেয় হাজারীবাগ থানা।
/ইউআই/এসএমএ/