সমাজে এ বিভক্তি দূর করার জন্য রাজনৈতিক সদিচ্ছা এবং ভিশনারি নেতৃত্ব দরকার উল্লেখ করে শ্রীলংকার সাবেক এই প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘বঞ্চিত সংখ্যালঘুরা তাদের দাবি আদায়ের জন্য অনেক সময়ে সহিংসতার আশ্রয় নিয়ে থাকেন। তাদের বহুমুখী দাবির প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হলে সমাজে বিভক্তি হয় না।’ এসময় সমাজের এ বহুমুখীতাকে শ্রদ্ধা জানানোর ওপর জোর দেন তিনি।
দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট সংখ্যালঘুদের বৈষম্য এবং বঞ্চনা শুধুমাত্র অর্থনৈতিক দৃষ্টিতে না দেখে সামাজিক ও সাংস্কৃতিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখারও আহ্বান জানান।
দক্ষিণ এশিয়ার উদাহারণ দিয়ে তিনি বলেন, ‘এখানে সন্ত্রাসবাদ এবং উগ্রবাদের উত্থান ঘটছে এবং আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি এর মূল কারণ খুঁজে বের করে এ সমস্যার সমাধান সম্ভব। গত তিন দশক ধরে আমরা (শ্রীলংকা) সন্ত্রাসবাদের শিকার। সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশও এর শিকার হয়েছে এবং ইউরোপ ও আমেরিকাতে এর প্রথম ঢেউ পরিলক্ষিত হচ্ছে।’
ম্যানচেস্টারের গতকালের বোমা বিস্ফোরণ এবং এর আগে লন্ডন ও প্যারিসের সন্ত্রাসী ঘটনার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সন্ত্রাসবাদ এখন একটি বড় আকারের চ্যালেঞ্জ হিসাবে আবির্ভূত হয়েছে।’
ভারত ও চীনের দ্বিমুখি প্রভাব শ্রীলংকা কিভাবে সামাল দেয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘শ্রীলংকার কৌশলগত অবস্থান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, বিশেষ করে এর বন্দরগুলির অবস্থান। গত সরকারের সময়ে গভীর সমুদ্র বন্দর বানানোর জন্য চীনকে কাজ দেওয়া হয় এবং পরে চীনকে সেটি লিজ দেওয়া হয়। আমার ধারণা এখন কলম্বো পোর্টের ব্যবস্থাপনার কাজ ভারতকে দেওয়ার মধ্য দিয়ে একটি ভারসাম্য আনা হবে।’
/এসএসজেড/এমও/