ইসলামের মনগড়া ব্যাখ্যা দিতো জেএমবির সাইদুর

সাইদুর রহমানইসলাম ধর্ম বিষয়ে অভিজ্ঞ হওয়া সত্ত্বেও জেএমবির সাবেক প্রধান মাওলানা সাইদুর রহমান ওরফে জাফর মনগড়া ব্যাখ্যা দিতো। বৃহস্পতিবার (২৫ মে) বেলা তিনটার পর ঢাকার ছয় নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক ইমরুল কায়েস তার বিরুদ্ধে রায় ঘোষণাকালে একথা বলেন।

বিচারক আরও বলেন, ‘ইসলাম ধর্মের বিরুদ্ধে সাইদুর মনগড়া ব্যাখ্যা দিয়েছে এবং তা প্রচার করেছে।’ ‘তাগুদি’ উল্লেখ করে সে (সাইদুর) আক্রমণাত্মক কথা বলেছে বলেও উল্লেখ করেন আদালত।

রায়ে আসামিদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ৮ ও ৯ ধারায় অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে উল্লেখ করে, ৮ ধারায় ৬ মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে এক মাস কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেন আদালত। ৯ ধারায় তাদের প্রত্যেককে ৭ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও আরও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

এসময় আদালত সাইদুরকে সাজা দেওয়ার বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন, জেএমবির প্রথম দিকে তার কাছ থেকে লিফলেট থেকে পাওয়া গিয়েছিল। এমনকি তার তাত্ত্বিক গুরু মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়া জেএমবি নেতা শায়খ আব্দুর রহমানও বিভিন্ন স্থানে মনগড়া মত প্রচার করতেন।

রায় শুনে আসামি সাইদুর তার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে,  ‘আমি কখনও এর সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলাম না। আমি নির্দোষ। আমার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করি। এ ধরনের কাজ আমি কখনও করিনি।’

এর আগে  বৃহস্পতিবার দুপুরের পর তাকে আদালতে আনা হয়। সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় বিচারের আগে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নেওয়ার বাধ্যবাধকতা থাকলেও এ মামলায় তা না হওয়ায় মাঝপথে বিচার আটকে যায়। ২০১৫ সালের ৮ সেপ্টেম্বর অনুমোদনের জন্য নথিপত্র স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। গতবছর ২৬ আগস্ট অনুমোদন পাওয়া গেলে নতুন করে শুরু হয় এ মামলার কার্যক্রম।

/এসআইটি/ইউআই/ এপিএইচ/

আরও পড়ুন: জেএমবির সাবেক প্রধান সাইদুর রহমানের ৭ বছর কারাদণ্ড