দিলদারসহ আপন জুয়েলার্সের তিন মালিককে জিজ্ঞাসাবাদ করছে শুল্ক গোয়েন্দা

আপন জুয়েলার্সদিলদার আহম্মেদসহ আপন জুয়েলার্সের তিন মালিককে জিজ্ঞাসাবাদ করছে শুল্ক গোয়েন্দা। অন্যরা হলেন- গুলজার আহম্মেদ ও আজাদ আহম্মেদ। এ সময় তাদের আইনজীবী আখতার ফরহাদ জামান ও ব্যারিস্টার মো. তাইফুল সিরাজ উপস্থিত ছিলেন।

মঙ্গলবার বেলা ১২টা ১৫ মিনিটে শুল্ক গোয়েন্দার কার্যালয়ে তাদের জিজ্ঞাবাদ শুরু হয়। আজ তাদের জব্দ করা স্বর্ণের হিসেব দিতে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

শুল্ক গোয়েন্দারা ধারণা করছেন, চোরাচালানের মাধ্যমে আপন জুয়েলার্স এসব স্বর্ণ সংগ্রহ করেছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরে মঙ্গলবার আপন জুয়েলার্স কর্তৃপক্ষকে হাজির হতে বলা হয়। এদিন শুল্ক গোয়েন্দা কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে তাদের বক্তব্য শুনে ও কাগজপত্র দেখে সিদ্ধান্ত দেবেন।
শুল্ক গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের সঙ্গে বসার আগে গুলজার আহম্মেদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘সব হিসেব দিতে সময় প্রয়োজন। আমরা তাদের সঙ্গে কথা বলে আরও সময় চাইবো।’

তবে কতদিন সময় চাওয়া হবে এ ব্যাপারে তিনি সুনির্দিষ্ট কিছু বলতে পারেননি।
উল্লেখ্য, গত ১৪ ও ১৫ মে আপন জুয়েলার্সের গুলশান, উত্তরা, মৌচাক ও সীমান্ত স্কোয়ারের শাখায় অভিযান চালিয়ে ১৩.৫ মণ স্বর্ণালংকার ও ৪২৭ গ্রাম ডায়মন্ড ব্যাখ্যাহীনভাবে মজুদ রাখার দায়ে সাময়িক আটক করে শুল্ক গোয়েন্দা। এগুলো আইন অনুসারে সিলগালা করে তাদের হেফাজতে দেওয়া হয়। বিপুল পরিমাণ স্বর্ণ ও হীরা আটকের ঘটনায় আপন জুয়েলার্স কর্তৃপক্ষকে তলব করে শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগ। সে হিসেবে গত ১৭ মে দিলদার আহমেদ ও তার অন্য দুই ভাইকে প্রথম দফায় জিজ্ঞাসাদ করে শুল্ক গোয়েন্দা। তবে সেদিন তারা এসব স্বর্ণের কোনও বৈধ কাগজ দেখাতে পারেননি। পরবর্তীতে শুল্ক গোয়েন্দা আবারও তাদের তলব করলে মঙ্গলবার তারা হাজির হন। 

/আরজে/এসএনএইচ/