আপন জুয়েলার্সকে আর সময় দেবে না শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগ


ব্রিফ করছেন শুল্ক গোয়েন্দা অধিদফতরের যুগ্ম কমিশনার মোহাম্মদ সাফিউর রহমানআপন জুয়েলার্সের পাঁচটি শো রুম থেকে জব্দ করা সোনার হিসাব ঠিকমতো দিতে না পারায়, নতুন করে সময় দিতে অনীহা প্রকাশ করেছেন শুল্ক গোয়েন্দারা। মঙ্গলবার (৩০ মে) বিকালে শুল্ক গোয়েন্দা কার্যালয়ে আপন জুয়েলার্সের পক্ষ থেকে জব্দ করা সোনার বিপরীতে হিসাব দেওয়ার জন্য আরও সময় চাইলে, শুল্ক গোয়েন্দারা সময় না বাড়ানোর সম্ভাবনার কথা জানিয়ে দেন। শুল্ক গোয়েন্দা অধিদফতরের যুগ্ম কমিশনার মোহাম্মদ সাফিউর রহমান বাংলা ট্রিবিউনকে এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ‘আপন জুয়েলার্সের পক্ষ থেকে আজ মঙ্গলবার ১২৫ কেজি সোনার হিসাব দেওয়া হয়েছে। তবে এগুলো জব্দ করা সোনার সঙ্গে সম্পৃক্ত  নয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘মঙ্গলবার সোনার যে হিসাব তারা  দিয়েছেন, এগুলো লাগেজ সুবিধায় দেশের বাইরে থেকে আনা। তারা এসব সোনার বার খুচরা আকারে কিনেছেন। কিন্তু সোনা কেনার কাগজপত্র এবং পারচেজ রেজিস্টারের সঙ্গে গরমিল রয়েছে।’


আপন জুয়েলার্সের পক্ষে মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলছেন ব্যারিস্টার মো. সাইফুল সিরাজশুল্ক গোয়েন্দা আইন উল্লেখ করে এ কর্মকর্তা বলেন, ‘কোনও মালামাল জব্দের পর সেটার প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য দুমাসের সময়সীমার  নিয়ম রয়েছে। ফলে তাদেরকে আর সময় দেওয়ার সম্ভাবনা নেই।’

তিনি বলেন, ‘মঙ্গলবার আপন জুয়েলার্স কর্তৃপক্ষ ১২৫ কেজি সোনার হিসাব দিয়েছে। বাকি সোনার হিসাব দেওয়ার জন্য আরও সময় চেয়েছে। তবে সময় দেওয়া হবে কিনা, তা ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে না দেওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।’

এর আগে শুল্ক গোয়েন্দা দফতর থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় আপন জুয়েলার্সের পক্ষে আসা আইনজীবী ব্যারিস্টার মো. সাইফুল সিরাজ বলেন, ‘আমাদেরকে জব্দ করা মালামালের বৈধ হিসাব দেওয়ার জন্য ডাকা হয়েছিল। আমরা পাঁচটি  ইউনিটের বিভিন্ন উৎস থেকে জব্দ করা মালামালের কিছু হিসাব দিয়েছি। বাকি মালামালের হিসাব দেওয়ার জন্য আমাদের আরও সময় প্রয়োজন। আমরা শুল্ক গোয়েন্দা কর্তৃপক্ষের কাছে সময় চেয়েছি।’

/আরজে/এআর/এপিএইচ/