নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও মহাসড়কে ট্রাকে চড়ে ফিরছে মানুষ

ঢাকা- ময়মনসিংহ সড়কে পিকআপে চড়ে গ্রামে ফিরছে মানুষ, ছবিটি গাজীপুরের হোতাপাড়া থেকে তোলা

ঈদে উপলক্ষে তিন দিন মহাসড়কে ট্রাক, কাভার্ডভ্যান ও অন্যান্য ভারি যানবাহন চলাচল করলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জরুরি ও জনগুরুত্বপূর্ণ বিজ্ঞপ্তি জারির পরও মহাসড়কে ট্রাক চলছে। এবং সেই ট্রাকে চড়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাড়ি ফিরছেন ঘরমুখো মানুষ। শনিবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে সরেজমিনে ঢাকা- ময়মনসিংহ মহাসড়কে এ চিত্র দেখা গেছে।

এই সড়কে একাধিক ট্রাক ও পিকআপে যাত্রী বহন করতে দেখা যায়।

শনিবার (২৪ জুন) ভোরে রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার কলাবাগান এলাকায় ট্রাক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ১৭ জন পোশাক শ্রমিক। এই দুর্ঘটনার পর ঈদের তিন দিন মহাসড়কে ট্রাক, কাভার্ডভ্যান ও অন্যান্য ভারি যানবাহন চলাচল করলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জরুরি ও  জনগুরুত্বপূর্ণ বিজ্ঞপ্তি জারি করে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে গাজীপুরের মাওনায় হাইওয়ে পুলিশের ওসি দেলোয়ার হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমাদের চোখে পড়েনি। তবে ট্রাকে করে যাত্রী বহন করলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

এদিকে, অল্প কিছু টাকা বা সময় বাঁচানোর জন্য বাস- ট্রাক, ট্রেন, লঞ্চের ছাদে চড়ে নিজের জীবন বিপন্ন না করার অনুরোধ জানিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি ) এ কে এম শহীদুল হক।

যাত্রী নিহত হওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করে আইজিপি বলেন, ‘ঈদের আগে বা পরে যখন রাস্তা কিছুটা ফ্রি থাকে, তখন দুর্ঘটনা বেড়ে যায়। যাত্রীরা  দ্রুত বাড়ি যাওয়ার জন্য গাড়ির ছাদে ও মালবাহী ট্রাকে  যাত্রা করেন। যা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।  এগুলো নিয়ন্ত্রণের জন্য আমরা টার্মিনাল বা স্টার্টিং পয়েন্টে নজরদারী করি। কিন্তু পথে পথে বিভিন্ন পয়েন্টে  চালকরা অতিরিক্ত টাকার জন্য যাত্রী তোলেন।  খালি ট্রাক নিয়ে ড্রাইভার ঘুরে বেড়ান যাত্রী তোলার জন্য। কিন্তু যেখানে আমাদের নজরে আসে আমরা এগুলো বন্ধ করি।’

/এপিএইচ/

আরও পড়ুন: 

ঈদযাত্রায় রংপুরে ট্রাক উল্টে ১৭ পোশাক শ্রমিক নিহত