চুরির অভিযোগে ইউজিসি কর্মকর্তা সাময়িক বরখাস্ত

বরখাস্ত হওয়া সহকারী সচিব এম এ ওয়ারেছ

 

বিমানবন্দরের ডিউটি ফ্রি শপে টাকা চুরির অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সহকারী সচিব এম এ ওয়ারেছকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। বুধবার বিকালে কমিশনের এক জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।  এর আগেও ইউজিসিতে চুরির অভিযোগে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

ইউজিসি জানায়, ‘বিমানবন্দরের ডিউটি ফ্রি শপে টাকা চুরির অভিযোগে কমিশনের ভাবমূর্তি মারাত্মকভাবে ক্ষুন্ন হয়েছে বলে মনে করে কমিশন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সরকারি কর্মচারী শৃঙ্খলা ও আপিল বিধি অনুযায়ী তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়। 

এছাড়া অভিযোগটি তদন্ত করার জন্য কমিশনের সদস্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ইউসুফ আলী মোল্লাকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়।

কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- প্রফেসর ড. দিল আফরোজা বেগম, প্রফেসর ড. মো. আখতার হোসেন ও প্রফেসর ড. এম. শাহ্ নওয়াজ আলি, সদস্য, ইউজিসি। খন্দকার হামিদুর রহমান, পরিচালক, আইএমসিটি বিভাগ, ইউজিসি কমিটির সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। কমিটিকে আগামী দশ কর্মদিবসের মধ্যে তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিল করার জন্য বলা হয়েছে।

এদিকে, বিমানবন্দর ও ইউজিসি সূত্রে জানা গেছে, বুধবার ভোর ৬টায় তুরস্কের কাউন্সিল অব হায়ার এডুকেশনের (সিওএইচই) একটি প্রতিনিধি দলকে বিদায় দিতে বিমানবন্দর যান এম এ ওয়ারেছ।  প্রতিনিধি দলকে বিদায় জানিয়ে ফেরার পথে সকাল ৬টায় তিনি বিমানবন্দরে একটি ডিউটি ফ্রি শপ থেকে টাকা চুরি করেন। এসময় বিমানবন্দরে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) হাতে পড়েন। প্রথমে টাকা চুরির বিষয়টি তিনি অস্বীকার করলে পুলিশ তাকে চ্যালঞ্জ করে। এক পর্যায়ে সিসি ক্যামেরা দেখিয়ে তার পকেট তল্লাশি করে টাকা উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনার পর ইউজিসির পক্ষ থেকে মুচলেকা দিয়ে বিমানবন্দর থানা থেকে তাকে ছাড়িয়ে নেওয়া হয়।  

পরে বিষয়টি জানাজানির পর নিজ দফতরে ইউজিসির চেয়ারম্যান প্রফেসর আবদুল মান্নান বৈঠক করেন। সেখানে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করার পাশাপাশি তদন্ত কমিটি গঠন করেন।

এর আগে এম এ ওয়ারেছ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব (বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়) জিন্নাত রেহেনার কক্ষ থেকে গোপনীয় ফাইল চুরি ও ইউজিসির সাবেক চেয়ারম্যান এ কে আজাদ চৌধুরীর ৫০ হাজার টাকা চুরি করেছিলেন বলে ইউজিসি সূত্র থেকে জানা গেছে। এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে ওই সময় বিভাগীয় ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছিল।

/আরএআর/এমও/আপডেট-এসএমএ/