তিনি বলেন, ‘উত্তর সিটিতে মহামারি হতে পারে। সে ঘোষণা তাদের বিষয়। আমি বলবো, ডিএসসিসিতে চিকুনগুনিয়া মহামারির ধারে কাছেও নেই। যেটুকু আছে তা ৩-৪ সপ্তাহের মধ্যে নিয়ন্ত্রণে আসবে।’
শুক্রবার (১৪ জুলাই) নগর ভবনের সামনে চিকুনগুনিয়া প্রতিরোধে স্পেশাল ক্রাশ প্রোগ্রামের উদ্বোধনকালে তিনি এই মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, ‘সীমিত লোকবল নিয়ে সাধ্য মতো চেষ্টা করছি চিকুনগুনিয়া নিয়ন্ত্রণে আনতে। চিকুনগুনিয়া মহামারি আকার ধারণ করেছে, তা বলা যাবে না। তবে নিয়ন্ত্রণে আনতে নাগরিকদের সচেতনতা জরুরি।’
মেয়র বলেন, ‘এলাকায় কারও বাসার সামনে ফগার মেশিন দিয়ে ওষুধ প্রয়োগের সময় কেউ যদি বাসার ভেতরে আহ্বান জানান, তাহলে কর্মীরা ভেতরে যাবে।’
এ সময় দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকার সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের প্রতি মেয়র অনুরোধ জানান, সবাই যেন একে অপরকে সচেতন করেন।
মেয়র সাঈদ খোকন বলেন, ‘আতঙ্কিত হবেন না। রোগ আসতেই পারে। এই সংকট মোকাবিলা একসঙ্গে করা সম্ভব।’
উত্তর সিটি করপোরেশনের বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, চিকুনগুনিয়া মহামারি আকার ধারণ করছে। এ বিষয়ে সাঈদ খোকন বলেন, ‘উত্তরে মহামারি বলেছে সেটা তাদের বিষয়। কিন্তু দক্ষিণ এলাকায় মহামারির ধারে কাছে নেই।’
তিনি বলেন, ‘চিকুনগুনিয়া শুধু বাংলাদেশে নয় ভারত, পাকিস্তান ও নেপালেও ছড়িয়েছে।’
চিকুনগুনিয়ার ভেকসিনেশন সম্পর্কে মেয়র বলেন, ‘সিঙ্গাপুর গত দু’সপ্তাহ আগে ডেঙ্গুর ভেকসিন বাজারজাত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। চিকুনগুনিয়ার জন্য ট্রায়ালের কাজ চলছে। আশা করি, দ্রুতই তারা সফল হবে। তখন আমরাও এটা দেশে নিয়ে আসবো।’
এসময় মেয়রের সঙ্গে ডিএসসিসি’র নির্বাহী কর্মকর্তা খান মোহাম্মদ বিলালসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে তিনি মশক নিধন কর্মীদের ডেকে নগর ভবনের সামনে একত্রিত করে তাদের কার্যক্রম পরিদর্শন করেন।
/এসএস /এপিএইচ/