সীতাকুণ্ডে অজ্ঞাত রোগ: আইইডিসিআর বিস্তারিত জানাবে সোমবার

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে সোনাইছড়ি ত্রিপুরা পাড়ায় শিশুদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়া রোগের বিভিন্ন তথ্য ও আক্রান্ত রোগীদের কাছ থেকে বিভিন্ন নমুনা সংগ্রহ শেষে ঢাকায় ফিরেছে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) প্রতিনিধি দল। শনিবার (১৫ জুলাই) সকালে প্রতিনিধি দলটি ঢাকায় ফেরে।

অজ্ঞাত রোগে আক্রান্ত হয়ে চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এক শিশুআইইডিসিআর-এর জ্যেষ্ঠ বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এএসএম আলমগীর বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘সীতাকুণ্ড থেকে রোগের বিভিন্ন নমুনা নিয়ে আমরা ঢাকায় ফিরেছি। আজ ও আগামীকাল সেগুলো আমাদের ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা করা হবে। আশা করছি, রবিবার রাত অথবা সোমবার সকাল নাগাদ রোগটি সম্পর্কে বিস্তারিত জানাতে পারবো।’
এই বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘কোন রোগে আক্রান্ত্র হয়ে সীতাকুণ্ডে শিশুদের মৃত্যু হয়েছে, সেটা কেন এবং কীসের সংক্রমণ এগুলোই মূলত জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। বিষয়টি দ্রুত বের করতে শনিবার ছুটির দিন হওয়া সত্ত্বেও আমরা কাজ করে যাচ্ছি।’
প্রাথমিকভাবে আপনারা কী মনে করছেন জানাতে চাইলে আইইডিসিআর-এর জ্যেষ্ঠ বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা আগে থেকেই কিছু বলতে চাই না। পরীক্ষার পর পুরো বিষয়টিই আনুষ্ঠনিকভাবে জানানো হবে।’

এর আগে মারাত্মক অপুষ্টিজনিত সংক্রমণের কারণে ৯ শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছিলেন আইইডিসিআরের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. ফারুক আহমেদ ভূঁইয়া। আক্রান্ত শিশুদের আইইডিসিআর প্রতিনিধি দল পর্যবেক্ষণ করার পর গত ১৩ জুলাই দুপুরে তিনি সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। এর আগের দিন প্রতিনিধি দলটি চট্টগ্রাম গিয়েছিল।

অজ্ঞাত রোগে আক্রান্ত হয়ে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড এলাকার দুর্গম পাহাড়ে বসবাসকারী ত্রিপুরা গোষ্ঠীর ৯ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। একই ধরনের অসুস্থতায় আরও ৩৫ শিশুকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল ও বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে কী ধরনের রোগে এসব শিশুরা আক্রান্ত হয়েছে তা এখন পর্যন্ত সুনির্দিষ্ট করে জানাতে পারেননি চিকিৎসকরা।

/জেএ/এমও/জেএইচ/