এর আগে ২০ জুলাই ‘প্র্যাঙ্কের নামে জনসাধারণকে নব্য ইউটিউবারদের হেনস্তা!’ নামে বাংলা ট্রিবিউনে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এতে বলা হয়,প্র্যাঙ্ক বা কৌতুকের নামে অনেক সময় মানুষের সঙ্গে অতিমাত্রায় ভয়ংকর আচরণ করা হয়েছে। মানুষকে চমকে দিয়ে, ভয় দেখিয়ে তা গোপনে ভিডিওতে ধারণ করে ইউটিউবে আপলোড করা হচ্ছে। এ কায়দায় ইউটিউব থেকে অনেকে অর্থ উপার্জন করছে। কিন্তু যারা ‘মজা’র নামে এমন হয়রানির শিকার হচ্ছেন তারা ব্যক্তিগত নিরাপত্তার পাশাপাশি ব্যক্তিগোপনীয়তা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন। সাধারণত পার্ক, শপিং মলে নব্য ইউটিউবারদের এই প্র্যাঙ্কের শিকার হচ্ছেন মানুষজন।
সোমবার (২৪ জুলাই) এক রিট আবেদনের শুনানি শেষে বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী এবং বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের বেঞ্চ এই আদেশ দেন। এর আগে হয়রানিমূলক প্র্যাঙ্ক বন্ধে আদালতের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে জনস্বার্থে রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার নূর মুহাম্মদ আজমী (মিল্লাত) ও ব্যারিস্টার মিজান-উর রশীদ। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ হোসেন ও অ্যাডভোকেট শিকদার মাহমুদুর রাজী।
পরে ব্যারিস্টার নূর মুহাম্মদ আজমী বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘একজন আইনজীবী হিসেবে সমাজের প্রতি আমাদের কিছু দায়িত্ব রয়েছে। আমরা দেখি রাস্তাঘাটে অফিস ফেরত লোকজন,বিশেষ করে স্কুল-কলেজের মেয়েরা এসব (প্র্যাঙ্কের) কারণে হেনস্তা হচ্ছে। যে কোনও সময় আমরা যে কেউ এই রকম হেনস্তার শিকার হতে পারি। এই আশঙ্কা থেকে এটা যাতে এখনই বন্ধ হয়ে যায়- সেই মর্মে ব্যবস্থা নিতে আমি আদালতে এই রিটটি করি। আজ আদালত রাস্তাঘাটে জনসম্মুখে হয়রানিমূলক প্র্যাঙ্ক বন্ধে কেন প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হবে না-এই মর্মে রুল জারি করেন।’
এমটি/এএম