বিসিবির গঠনতন্ত্র সংশোধনের ক্ষমতা তাদেরই: আপিল বিভাগ

হাইকোর্টবাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) গঠনতন্ত্র সংশোধনের ক্ষমতা বিসিবিরই,এই ব্যাপারে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের কোনও অধিকার নেই বলে রায় দিয়েছেন আপিল বিভাগ। বুধবার (২৬ জুলাই) প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহান নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন মাহবুব শফিক। বিসিবির পক্ষে ছিলেন রোকন উদ্দিন মাহমুদ, ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। আর ন্যাশনাল স্পোর্স কাউন্সিলের পক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহাবুবে আলম।
ব্যারিস্টার মাহবুব শফিক বলেন, ‘২০১২ সালে বিসিবির তৎকালীন কমিটি তাদের গঠনতন্ত্রের ২৬ ধারা অনুযায়ী গঠনতন্ত্র সংশোধন করে অনুমোদনের (বিসিবি গঠনতন্ত্রের ১১-(১) ধারা অনুযায়ী) জন্য জাতীয় ক্রীড়া পরিষদে পাঠায়। পরে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ কিছু সংশোধনী এনে বিসিবিতে ফেরত পাঠায়। বিসিবি দ্বিতীয়বারের মতো সেটি অনুমোদনের জন্য জাতীয় ক্রীড়া পরিষদে পাঠায়। পরবর্তীতে ২০১৩ সালে দ্বিতীয়বার অনুমোদনপ্রাপ্ত গঠনতন্ত্রের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘আদালত রায়ের সময় বলেছেন বিসিবির স্বাধীনতার ফলে দেশের ক্রিকেট এগিয়ে যাবে। বিসিবি আরও স্বায়ত্তশাসিতভাবে আরও শক্তিশালী ও সমৃদ্ধ হবে।’
২০১৩ সালের ২৭ জানুয়ারি বিসিবির সংশোধিত গঠনতন্ত্র অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেন হাইকোর্ট। পরদিন এই রায় স্থগিত চেয়ে আবেদন করে এনএসসি ও বিসিবি। ওইদিনই হাইকোর্টের রায়টি স্থগিত করেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত। বিভিন্ন সময়ে এই স্থগিতাদেশ বাড়ানো হয়।
২০১২ সালের নভেম্বরে গঠনতন্ত্রে সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন বিসিবির সাবেক পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার মোবাশ্বের হোসেন এবং বাংলাদেশ জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংগঠক পরিষদের সভাপতি ইউসুফ জামিল বাবু।
রিটে বলা হয়,বিসিবির বিশেষ সাধারণ সভায় কাউন্সিলরদের মতামত নিয়ে এনএসসির কাছে গঠনতন্ত্র পাঠানো হয়েছিল। এনএসসি গঠনতন্ত্র যাচাই-বাছাই শেষে সংশোধন করে বিসিবিতে ফেরত পাঠায়। ফের বিসিবির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের পরামর্শে গঠনতন্ত্র সংশোধন করে এনএসসি।
রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১২ সালের ১৩ ডিসেম্বর আদালত রুল জারি করেন। রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে আদালত সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেয় হাইকোর্ট।
/এমটি/এআর//এসটি/