নাশকতার মামলা: বিএনপির ৩৯ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে পরোয়ানা

মহানগর দায়রা জজ আদালতরাজধানীর পল্টন থানায় দায়ের বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি জয়নুল আবেদীন ও সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকনসহ বিএনপির ৩৯ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন ঢাকার একটি আদালত। বুধবার (২৬ জুলাই) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. কামরুল হোসেন মোল্লা এই আদেশ দেন।

ওই মামলার ৫৩ জন আসামির বিরুদ্ধে দায়ের অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে পলাতক ৩৯ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন বিচারক। একইসঙ্গে আগামী ২৮ আগস্ট এই ৩৯ জনকে গ্রেফতারের বিষয়ে প্রতিবেদন দিতে পল্টন থানার ওসিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ওই আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের অতিরিক্ত কৌঁসুলি তাপস কুমার পাল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবেদীন ও বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহাবুব উদ্দিন খোকন ছাড়াও গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হওয়া নেতাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকজন হলেন- মারুফ কামাল খান, শিমুল বিশ্বাস, শিরিন সুলতানা, সৈয়দা আসিফা আশরাফি পাপিয়া, মীর শরাফত আলী সপু, আজিজুল বারী হেলাল, সাইফুল ইসলাম নিরব প্রমুখ।

এ মামলায় ইতোমধ্যে গ্রেফতার হয়ে কারাগারে রয়েছেন বিএনপি নেতা বরকত উল্লাহ বুলু ও মনির হোসেন। এছাড়া, জামিনে রয়েছেন-এম কে আনোয়ার, আমানউল্লাহ আমান, শওকত মাহমুদ, রুহুল কবির রিজভী ও খায়রুল কবির খোকনসহ ১২ জন।

এ বিষয়ে মাহাবুবউদ্দিন খোকনের আইনজীবী তাহেরুল ইসলাম তৌহিদ বাংলা ট্রিবিউনকে মোবাইল ফোনে বলেন, ‘মামলার তারিখ ভুলে গিয়েছিলাম বলে তারা (আসামি) আদালতে হাজির হননি। এখন যত দ্রুত সম্ভব তাদের আদালতে হাজির করে জামিন নেওয়ার ব্যবস্থা করব।’

২০১৫ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের হরতাল অবরোধ চলাকালে কাকরাইলে স্কাউট ভবনের পাশে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে অগ্নিসংযোগ করা হয়। ওইদিনই পল্টন থানায় এএসআই জিয়াউল হক বিএনপির ৫৩ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করেন। বিএনপির ওই নেতাদের যোগসাজশে এ ঘটনা ঘটেছে বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়। চলতি বছরের ২৭ এপ্রিল পল্টন থানার এসআই দেবীকান্ত বর্মন ৫৩ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

/এসআইটি/এএম/