আইসিইউতে স্থানান্তর, ভালো আছে মুক্তামনি

অপারেশন থিয়েটারে নেওয়ার আগে মুক্তামনিদ্বিতীয়বার অপারেশনের পর নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) স্থানান্তর করা হয়েছে মুক্তামনিকে। আর সেখানে ভালও আছে সে। শনিবার (৫ আগস্ট) বিকেলে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের সহকারী অধ্যাপক ডা. তানভীর আহমেদ বাংলা ট্রিবিউনকে এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, ‘রক্ষক্ষরণ বন্ধ হয়েছে। মুক্তামনি ভালো আছে।’
এর আগে দুপুরে বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক ইউনিটের আবাসিক সার্জন ডা. হোসেন ইমাম জানিয়েছিলেন, সকালে অপারেশন শেষে আইসিইউতে নেওয়ার পর থেকেই তার অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। রক্তক্ষরণ বন্ধে তাকে দ্বিতীয়বার ওটিতে নেওয়া হয়। ওই সময় মুক্তামনির রক্তের প্রয়োজন বলেও জানিয়েছিলেন এই চিকিৎসক।

দ্বিতীয়বার অপোরেশন থিয়েটাটারে নেওয়ার পর তার রক্ষক্ষরণ বন্ধ হয়। রক্তক্ষরণের কারণে দ্বিতীয় দফা অস্ত্রোপচারের পর কোনও ঝুঁকি রয়েছে কিনা জানতে চাইলের ডা. তানভীর আহমেদ বলেন, ‘আর রক্তক্ষরণের সম্ভাবনা নেই।’

আইসিইউতে কেন নেওয়া হলো জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘কেবিনে নিলে মানুষের ভিড় ঠেকাতে পারা যেতো না। সে কারণেই আইসিইউতে রাখা হয়েছে। এছাড়া আইসিইউ সব সময় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের নিয়ন্ত্রণে থাকে।’

শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মুক্তামনির অস্ত্রোপচার শুরু হয়। এর আগে সকাল ৮টার দিকে তাকে অপারেশন থিয়েটারে নেওয়া হয়। অস্ত্রোপচার করতে সময় লাগে ৪০ মিনিট। এসময় বায়োপসির জন্য তার হাত থেকে টিস্যু সংগ্রহ করা হয়। অপারেশনের পুরো প্রক্রিয়ার যুক্ত ছিলেন বার্ন ইউনিটের সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন, পরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ, অধ্যাপক সাজ্জাদ খোন্দকার, অধ্যাপক ডা. রায়হানা আওয়াল, সহকারী অধ্যাপক তানভীর আহমেদ, সহকারী হেদায়েত আলী, কনসালটেন্ট ডা. আবু ফয়সাল, ডা. শারমিন সুমি, আবাসিক সার্জন হুসেন ইমাম, ডা. মাহবুবুর রহমান, ডা. লতা, অ্যানেসথেশিয়া বিভাগের প্রধান ডা. মোজাফফর আহমেদ, ডা. মৌমিতা তালুকদার ও ডা. জাহাঙ্গীর কবির।

প্রসঙ্গত, গত ১২ জুলাই ঢামেক হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে ভর্তির পর প্রাথমিকভাবে চিকিৎসকরা চারটি রোগের কথা ধারণা করলেও পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর দেখা গেছে, লিমফেটিক ম্যালফরমেশন রোগে ভুগছে মুক্তামনি। এটি একটি জন্মগত রোগ (কনজিনেটাল ডিজিস)। এর বিশেষত্ব হচ্ছে, জন্মের পরপরই কিছু ক্ষেত্রে এর প্রকাশ পায় কারও কারও ক্ষেত্রে, কারও-কারও ক্ষেত্রে পায় না। তবে মুক্তামনি এতদিন অবহেলা আর অপচিকিৎসার শিকার হয়েছে বলে পরিবার ও চিকিৎসকদের পক্ষ থেকেও বলা হচ্ছে।

আরও পড়ুন
ফের ওটি-তে মুক্তামনি, রক্তের প্রয়োজন

/জেএ/এসএমএ/