মৃত্যুদণ্ড পাওয়াদের দুইজন খালাস

হাইকোর্ট

বিশ্বজিৎ হত্যা মামলায় বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ড পাওয়াদের মধ্যে দুইজনকে খালাস দেওয়া হয়েছে। মোট মৃত্যুদণ্ড পাওয়া আটজনের মধ্যে দুইজনের ফাঁসি বহাল, দুইজন খালাস ও চারজনকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। রবিবার (৬ আগস্ট) বিচারপতি রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রায় দেন। এর আগে ১৭ জুলাই শুনানি শেষে রায় ঘোষণার জন্য আজকের দিন ধার্য করেন। আমৃত্যু কারাদণ্ড পাওয়া ১৫ জনের মধ্যে ১১ জন পলাতক।

বিশ্বজিৎ হত্যাকাণ্ড

বিচারিক আদালতের রায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত  ছাত্রলীগের আট কর্মী হলেন রফিকুল ইসলাম ওরফে শাকিল, মাহফুজুর রহমান ওরফে নাহিদ, জি এম রাশেদুজ্জামান ওরফে শাওন, কাইয়ুম মিয়া, ইমদাদুল হক ওরফে এমদাদ, সাইফুল ইসলাম, রাজন তালুকদার ও নূরে আলম ওরফে লিমন। তাঁদের মধ্যে রাজন তালুকদার ও নূরে আলম পলাতক। বাকি ছয়জন কারাগারে আছেন। এদের মধ্যে হাইকোর্টের রায়ে মৃত্যুদণ্ড বহাল থাকলো রফিকুল ইসলাম শাকিল ও রাজন তালুকদারের। এছাড়া নিম্ন আদালতে মৃত্যুদণ্ড পাওয়াদের মধ্যে সাইফুল ইসলাম ও কাইয়ুম মিয়াকে খালাস দেওয়া হয়েছে। আর নিম্ন আদালতে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পাওয়া দুইজন এএইচএম কিবরিয়া ও গোলাম মোস্তফা খালাস পেয়েছেন।  

এ মামলায় আমৃত্যু কারাদণ্ড পাওয়া ছাত্রলীগের বাকি ১৩ কর্মী হলেন এ এইচ এম কিবরিয়া, গোলাম মোস্তফা, খন্দকার ইউনুস আলী, তারেক বিন জোহর, আলাউদ্দিন, ওবায়দুল কাদের, ইমরান হোসেন, আজিজুর রহমান, আল আমিন শেখ, রফিকুল ইসলাম, মনিরুল হক পাভেল, কামরুল হাসান ও মোশাররফ হোসেন। এঁদের মধ্যে এস এম কিবরিয়া ও গোলাম মোস্তফা কারাগারে আছেন। বাকি ১১ জন পলাতক।

/ইউআই/টিএন/

 বিশ্বজিৎ হত্যা মামলা নিয়ে আরও খবর:

বিশ্বজিৎ হত্যা: শুধু দু’জনের ফাঁসি বহাল, অনেকের সাজা কমলো

রায়ে খুশি খালাস গোলাম মোস্তফার আইনজীবী