নিম্ন আদালতের সঙ্গে উচ্চ আদালতের রায়ের পার্থক্য তুলে ধরে বিস্ময় প্রকাশ করে উত্তম দাস বলেন, ‘দুই রায়ে এত পার্থক্য হয় কিভাবে! এখন দেখি চারজনকে খালাসও দেওয়া হয়েছে। তার মানে এই চারজন জড়িত ছিল না।’
তিনি বলেন, ‘উচ্চ আদালত রায় দিলেন, কী বলব। অনেকেই জানতে চেয়েছেন খুশি হয়েছি কি না? এটা কি খুশি হওয়ার মতো রায়? কী বলব ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না।’ তিনি বলেন, ‘আমি তো বিশ্বজিতের ভাই। সাধারণ জনগণকে ডাক দিয়ে জিজ্ঞেস করুন এ রায়ে তারা খুশি নাকি। আমি তো বলব আমি খুশি নই। আমার আরও চাই।’ সেদিনের সেই মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ডের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘এখানে তো লুকোচুরি করার কিছু নাই। সাক্ষী-প্রমাণ বানানো বা সাজানোও নয়। সব চোখের দেখা, বাস্তবের মতো। ভিডিও ফুটেজ আছে, ছবি আছে। তারপরও দুই রায়ে এত বেশ কম।’
বিচারিক প্রক্রিয়ার তো আরও ধাপ আছে-মনে করিয়ে দিলে উত্তম দাস বলেন, ‘আর ধাপ! এই বিচারের যদি এত ধাপ লাগে, তাহলে মানুষ অন্যায় করবে না কেন? আমার মনে হয় টাকা থাকলে সব ধাপ পার করা যায়। টাকা-পয়সা খরচ করতে পারলে মনে হয় আমরাও অনেকদূর যেতে পারতাম।’ আপিল করার মতো ক্ষমতা তাদের নেই জানিয়ে তিনি বিষয়টি সরকারের হাতে ছেড়ে দেন।
জেইউ/এএম
আরও পড়ুন:
বিশ্বজিৎ হত্যা: শুধু দু’জনের ফাঁসি বহাল, অনেকের সাজা কমলো
মৃত্যুদণ্ড পাওয়াদের দুইজন খালাস