মাদ্রাসা ছাত্র কাওসারের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন

মাদ্রাসা ছাত্র কাওসাররাজধানীর পল্লবীর মাদ্রাসা ছাত্র কাওসারের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। সুরতহাল প্রতিবেদনে তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন থাকায় তাকে মৃত্যুর আগে বলাৎকার করা হয়েছিল কিনা তা জানতে শরীর থেকে বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। ওই শিশুর মরদেহের ময়নাতদন্তের দায়িত্বে থাকা ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের (ঢামেক) চিকিৎসক প্রভাষক ডা. সোহেল কবির বাংলা ট্রিবিউনকে এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরই জানা যাবে কিভাবে কাওসারের মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার (৭ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৯টায় মারকাজুল তারতীলীল হাফিজিয়া কোরআন মাদ্রাসার তৃতীয় তলার পরিচালক হাফেজ মাওলানা জোনাইদ বীন ইসাহাকের রুম থেকে হাফিজুর রহমান কাওসারের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য বিকালে ঢামেক পাঠানো হয়।
কাওসারের মাথায় আঘাতের চিহ্নময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক ডা. সোহেল কবির বলেন, ‘হাফিজুরের শরীরে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। তার শরীর থেকে নেকটিসু, ভিসারা সংগ্রহ করা হয়েছে। মৃত্যুর আগে তাকে বলাৎকার করা হয়েছে কিনা, তা পরীক্ষা করতে রেকটাম থেকে নমুনা সংগ্রহ করে সংরক্ষণ ও পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। এসব প্রতিবেদন পেলে তার মৃত্যুর সঠিক কারণ বলা যাবে।’
নিহত কাওসারের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ২২ দিন আগে মিরপুর ১২নং সেকশনে অবস্থিত ওই মাদ্রাসায় ভর্তি করা হয় কাওসারকে। তার বাবা দুলাল মিয়া বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘কাল (রবিবার) কাওসারের মা ওকে দেখতে গিয়েছিল খাবার নিয়ে। কিন্তু কাওসারকে দেখা করতে দেওয়া হয়নি। কেউ দেখা করতে গেলেই কাওসার তার সঙ্গে চলে আসার জন্য কান্নাকাটি করে বলে মাদ্রাসার হুজুর জানিয়েছিলেন ওর মাকে। তাই সে আর কাওসারের সঙ্গে দেখা করার জন্য জোরাজুরি করেনি।’ কাওসারের মা চলে আসার পর শিক্ষকদের নির্যাতনে তার মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ করেন দুলাল মিয়া।
/এআইবি/এআরআর/টিআর/টিএন/