বাংলা ট্রিবিউনকে বিষয়টি নিশ্চিত করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের যুগ্ম সচিব (মাধ্যমিক) সালমা জাহান বলেন, ‘আমরা প্রতিষ্ঠানটির অনেক শিক্ষকের বিরুদ্ধে ভুয়া সনদে চাকরি নেওয়ার অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ওই প্রতিষ্ঠানের সব শিক্ষকের সনদ যাচাই করতে মাউশিকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে প্রতিবেদন জমা দিতে তাদের দুই সপ্তাহের সময় দেওয়া হয়েছে।’
এর আগে গত মে মাসে এক অভিযোগের প্রেক্ষিতে শিক্ষামন্ত্রণালয় স্কুলটির মতিঝিল শাখার সহকারী প্রধান শিক্ষক আব্দুস ছালাম খানের বিএড সনদ ভুয়া বলে প্রমাণিত হয়। এরপর মাউশি ছালাম খানের এমপিও স্থগিত করে। একই সঙ্গে তাকে চাকরিচ্যুত করতে ম্যানেজিং কমিটিকে চিঠি দেয় ঢাকা শিক্ষাবোর্ড। এই নির্দেশনার বিরুদ্ধে ছালাম খান হাইকোর্টে রিট আবেদন করলে স্থগিতাদেশ দিয়েছেন আদালত।
এ ঘটনার পরে প্রতিষ্ঠানটির আরও অনেক শিক্ষকের বিরুদ্ধে জাল শিক্ষক নিবন্ধন সনদ দিয়ে চাকরি নেওয়ার অভিযোগ জমা পড়ে শিক্ষামন্ত্রণালয়ে। এসব অভিযোগ আমলে নিয়ে মন্ত্রণালয় তদন্ত করতে মাউশিকে নির্দেশ দিয়েছে। তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হলে অভিযুক্ত শিক্ষকদের এমপিও বাতিলসহ বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সূত্র জানিয়েছে।
/আরএআর/এসএনএইচ/