মা ও বোনকে নিয়ে এসেছিলেন সবিতা রাণী। তিনি বলেন, ‘মায়ের কোমর ব্যথা এবং বোনের কিছু গাইনি সমস্যার কারণে এসেছিলাম। ডাক্তার দেখিয়েছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘আজ বিনামূল্যে ডাক্তার দেখানো যাবে-এটা জানতাম না, এসে টিকিট কাউন্টারে গিয়ে শুনলাম টাকা লাগবে না।’
এছাড়াও ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল, মিটফোর্ড হাসপাতাল, কুর্মিটোলা হাসপাতাল, মুগদা হাসপাতাল, জাতীয় নাক কান ও গলা ইনস্টিটিউট, ক্যান্সার হাসপাতাল, হৃদরোগ ইনস্টিটিউট, মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট, নিটোর, চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, নিউরো সায়েন্সেস হাসপাতালসহ সারাদেশের সরকারি হাসপাতালগুলোতে বিনামূল্যে রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া হয়।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জানানো হয়, সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বিনামূল্যে রোগীদের চিকিৎসাসেবা দেন। মেডিসিন অনুষদের ২১টি বিভাগ, সার্জারি অনুষদের ১৪টি বিভাগ ও ডেন্টাল অনুষদের ৪টি বিভাগসহ ৩৯টি বিভাগে ৪৬ জন অধ্যাপক, ৫৫ জন সহকারী অধ্যাপক, ২০ জন সহকারী অধ্যাপক, ৩ জন কনসালটেন্ট, ১৩ জন মেডিক্যাল অফিসার, ৫৪ জন আবাসিক চিকিৎসক, ৭৪ জন নার্স ও মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ পাঁচ শতাধিক জনবল ১১৭টি কক্ষে এই মহতী কার্যক্রমে সরাসরি অংশ নেন। এরমধ্যে মেডিসিন অনুষদে দুই হাজার ৬৬০ জন, সার্জারি অনুষদে এক হাজার ৯৩৮ এবং ডেন্টাল অনুষদে ১৯০ জন রোগীকে বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয়।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের নির্দেশে গত চার বছর ধরে জাতীয় শোক দিবসে সব সরকারি হাসপাতালে এই বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে।
জেএ/এএম