এদিকে, অভিযান চালানোর আগে ওই হোটেল থেকে সরিয়ে নেওয়া অতিথি ও স্টাফদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আজ(১৫ আগস্ট) রাতেই ছেড়ে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন কলাবাগান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইয়াসির আরাফাত। মঙ্গলবার রাত ১০টায় সরেজমিনে দেখা গেছে, হোটেলটির প্রধান ফটক তালাবদ্ধ রেখে নিচে নিরাপত্তায় নিয়োজিত রয়েছে ৯ জন পুলিশ সদস্য। কলাবাগান থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত এএসআই আনসারুল করিম জানান, তিনিসহ ৯ জন পুলিশ সদস্য হোটেলটির নিরাপত্তায় নিয়োজিত আছেন। হোটেল ওলিও ছাড়া আর কোনও প্রতিষ্ঠান পুলিশ তালাবদ্ধ করেছে কিনা তা জানাতে পারেননি তিনি।
পুলিশের ব্লক রেইড চলাকালে পান্থপথের হোটেল ওলিও ইন্টারন্যাশনালের অন্যান্য কক্ষের অতিথিরা দরজা খুলে দিলেও ৩০১ নম্বর কক্ষের দরজা খোলেনি বলে জানান কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম। তখন ব্লক রেইডে অংশ নেওয়া পুলিশ সদস্যরা ওই কক্ষের দরজা বাইরে থেকে তালা লাগিয়ে দেন। এরপর সকালে পুলিশ বার বার আত্মসমর্পনের আহ্বান জানালেও তাতে সাড়া দেয়নি সাইফুল। বেলা পৌনে দশটার দিকে অভিযান চালানোর সিদ্ধান্ত নেয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
অভিযান চলাকালে সোয়াট সদস্যদের গুলি ও নিজের সঙ্গে থাকা বোমার আঘাতে নিহত হয় সাইফুল। এরপর ঘটনাস্থলে ক্রাইম সিনের কাজ শেষে বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে সাইফুলের লাশ ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। আগামীকাল (১৬ আগস্ট) তার ময়নাতদন্ত করা হবে।
/আরজে/টিএন/