শিশু হত্যার দায়ে ২ জনের যাবজ্জীবন

কারাদণ্ড

চার বছরের শিশুকন্যাকে হত্যার দায়ে শিশুটির খালাতো ভাই ও তার বন্ধুর যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন ঢাকার একটি আদালত। বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) ঢাকার ১ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইবুনালের বিচারক শাহেদ নূরুদ্দিন এ রায় দেন। এ তথ্য বাংলা ট্রিবিউনকে নিশ্চিত করেছেন ওই আদালতের বিশেষ কৌশুলি মো. আব্দুল্লাহ আবু ভূঁইয়া। তিনি আরও জানান, বিচারক এদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও তা অনাদায়ে এক বছর সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন।  

দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন নিহতের খালাতো ভাই মানিক কুমার দাস (২০) ও তার বন্ধু প্রকাশ চন্দ্র দাস (২২)। এরা দুজনেই পেশায় কাঠমিস্ত্রি। মানিক কুমারের বাড়ি মুন্সিগঞ্জ ও প্রকাশ চন্দ্রের বাড়ি মানিকগঞ্জ। ঢাকার রামপুরায় একটি মেসে তারা একসঙ্গে থাকত। এ মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত প্রকাশ চন্দ্র দাস আগে থেকেই পলাতক।

মামলায় বলা হয়, ২০১১ সালের ৩ অক্টোবর এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ঢাকার উত্তর বাড্ডা, পূর্বাচল লেন ১৭-এর একটি বাসায় খালা রিনা দাসের (৪৮) পরিবারের সঙ্গে থাকত মানিক। মানিকের খালুও একজন কাঠমিস্ত্রি। খালুর সঙ্গে কাঠমিস্ত্রির কাজ করত সে। একসময় সে তার খালাতো বোন সুস্মিতাকে (১২) বিয়ের প্রস্তাব দেয়। কিন্তু মানিকের খালা (সুস্মিতার মা) তা প্রত্যাখ্যান করেন ও মানিককে বাসা থেকে বের করে দেন। এরপর ৩০ অক্টোবর মানিক তার বন্ধু প্রকাশকে নিয়ে খালার বাসায় বেড়াতে যায়। গল্পের একপর্যায়ে পেছন থেকে খালা রিনা দাসকে কুড়াল দিয়ে আঘাত করে। এসময় সুস্মিতার ছোট বোন সুবর্ণা (৪) ঘটনাটি দেখলে তাকে সিলভারের পাতিলে চুবিয়ে হত্যা করা হয়। এরপর ঘরে থাকা একলাখ টাকা নিয়ে তারা ভেগে যায় বলে মামলায় জানানো হয়।

এ ঘটনায় মানিকের খালু ভবদিস চন্দ্র দাস বাদী হয়ে বাড্ডা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই দিনই মানিককে তার রামপুরার মেস থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপর সে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয় আদালতে। বাড্ডা থানার এসআই আব্দুল খালেক ২০১৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি আদালতে এ মামলার অভিযোগপত্র দায়ের করেন।

/এসআইটি/এএইচ/