ছয় মাসে ৭৬৯টি অভিযোগ অনুসন্ধান ও ৫২৭টি মামলার তদন্ত করেছে দুদক

দুদকবিগত ছয় মাসে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তদন্ত ও বিশেষ তদন্ত এই দুই অনুবিভাগে ৭৬৯টি অভিযোগ অনুসন্ধান ও ৫২৭টি মামলার তদন্ত সম্পন্ন করেছে। বৃহস্পতিবার দুদক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত ১ বছর মেয়াদি কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন কার্যক্রমের অগ্রগতি মূল্যায়ন সভায় এসব তথ্য জানান দুদক কর্মকর্তারা। সভায় কমিশনের ৬টি অনুবিভাগের মহাপরিচালকরা বিগত ছয় মাসে তাদের বাস্তবায়িত কার্যক্রম মনিটরিং টিমের সভাপতিকে জানান।
দুদক মহাপরিচালক (তদন্ত) ফরিদ আহমদ ভূইয়া মনিটরিং কমিটিকে জানান, বিগত ছয় মাসে এই অনুবিভাগ ৬০৩টি অভিযোগের অনুসন্ধান এবং ৪৭৪টি মামলার তদন্ত সম্পন্ন করেছে।
দুদক মহাপরিচালক (বিশেষ তদন্ত) মো. আসাদুজ্জামান মনিটরিং কমিটিকে জানান, বিগত ছয় মাসে এই অনুবিভাগ ১৬৬টি অভিযোগের অনুসন্ধান এবং ৫৩টি মামলার তদন্ত সম্পন্ন করেছে।
কমিশনের নিজস্ব হাজতখানা পরিচালনা ও আর্মড ইউনিট গঠনের নীতিমালা প্রণয়ন সংক্রান্ত কাজের শতকরা ৯০ ভাগ অগ্রগতি সম্পন্ন হয়েছে, বলে জানান প্রশাসন অনুবিভাগের মহাপরিচালক মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী।

আইন অনুবিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত মহাপরিচালক ড. শামসুল আরেফিন জানান, বর্তমানে কমিশনের আইনজীবীদের কাছে কতটি মামলা রয়েছে, মামলাগুলো কোন পর্যায়ে, কোন কোর্টে বিচারাধীন অথবা মামলার অবস্থান কোন পর্যায়ে রয়েছে ইত্যাদি তাৎক্ষণিকভাবে জানা যাচ্ছে।

সভাটি কৌশলগত কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন সংক্রান্ত মনিটরিং টিমের আহ্বায়ক ও দুদক কমিশনার ড. নাসিরউদ্দীন আহমেদ সভাপতিত্ব করেন। তিনি বলেন, ‘প্রতিটি অনুসন্ধান ও তদন্ত টাইমলাইন অনুসারে সম্পন্ন করতে হবে। কোনও অবস্থাতেই যৌক্তিক কারণ ছাড়া অনুসন্ধান বা তদন্ত পেন্ডিং ফেলে রাখা যাবে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘আইন অনুবিভাগে যে তথ্যভাণ্ডার তৈরি করেছে তা ডাটাবেজে পরিণত করতে প্রয়োজনে বাংলাদেশের প্রযুক্তিগত সহযোগিতা নেওয়া হবে। কমিশন কর্তৃক অনুমোদিত ১ বছর মেয়াদি কর্মকৌশল বাস্তবায়নে কর্মকর্তাদের নিজ নিজ দায়িত্ব নির্ধারিত সময়ে সম্পন্ন করতে হবে।’

/আরজে/এমও/